কলকাতা: ভারতের মিত্র দেশের তালিকায় প্রথম সারিতেই আসে রাশিয়ার নাম৷ ভারতের অস্ত্রের ভাঁড়ার রাশিয়ার কাছে বহুলাংশে ঋণী৷ এই ভূমিতে দুই দেশের সখ্য নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব না থাকলেও, মহাকাশে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিল রাশিয়া৷ কিন্তু কী ভাবে? না, এই যুদ্ধ কোনও রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম নয়৷ বরং চন্দ্র বিজয়ের৷ ৫০ বছর পর ফের চাঁদের দেশে পাড়ি জমাতে চলেছে রাশিয়া। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে সরাসরি টক্করে নামছে রুশ চন্দ্রযান লুনা-২৫। আগামী শুক্রবার চাঁদের পথে রওনা হবে মস্কোর মহাকাশযান লুনা-২৫। রুশ চন্দ্রযানেরও গন্তব্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু। এখন প্রশ্ন হল ভারতের তৈরি চন্দ্রযান ৩-র আগেই কি চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলবে রুশ মহাকাশযান? ভারতের আগেই কি বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের শিরোপা ঝুলিতে পুড়বে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ? রুশ রকেট উৎক্ষেপণের আগেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
কিন্তু, এত পড়ে সফর শুরু করেও কী ভাবে ভারতের চন্দ্রযানকে পিছনে ফেলে আগে চাঁদের দেশে পৌঁছবে লুনা ২৫? জানা গিয়েছে, চাঁদে পৌঁছতে রুশ চন্দ্রযানের নাকি মাত্র পাঁচদিন সময় লাগবে৷ ৪-৫ দিন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার লুনা-২৫। আগামী ১১ অগাস্ট রাশিয়ার ভসটোসনি কসমোড্রোম থেকে সোয়ুজ রকেটের মাধ্যমে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে রুশ ল্যান্ডার৷ খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রমের আগেই চাঁদের মাটিতে পা দেবে রাশিয়ার লুনা-২৫? ভারতের আগেই কি চন্দ্রজয় করবে রাশিয়া? যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর চন্দ্রযান ৩ যদি চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে সফল হয়, তবে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যাঁদের চন্দ্রাভিযান সফল হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন ছাড়া কোনও দেশের মুকুটে এই সাফল্যের পালক নেই।