স্বামী দিনমজুর! মাটির বাড়িতে থেকেই জয়ের স্বপ্ন BJP-র সবচেয়ে গরীব প্রার্থীর

'বড়লোকদের দল' বিজেপিতেই রয়েছেন এবার ভোটের দরিদ্রতম প্রার্থী চন্দনা

53c871483338f2beddb08d10ebf201c1

শালতোড়া: “বিজেপি বড়লোকের দল”, বরাবরই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে প্রকাশ্য জনসভায় ‘এত টাকা নিয়ে কী করবেন?’ সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টিতে যে শুধু বড়লোকরাই নেই, আছেন গরীব খেটে খাওয়া মানুষও, প্রার্থী তালিকায় চোখ রাখলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

চন্দনা বাউরি। বাঁকুড়ার শালতোড়া থেকে এবার তাঁকেই ভোটে লড়াইয়ের টিকিট দিয়েছে পদ্ম শিবির। মোদী শাহের মতো হেভিওয়েট নেতৃত্বের বাছাইয়ে যে শালতোড়া গ্রামের এই অখ্যাত মহিলার নাম উঠে এসেছে তা থেকে একটা কথা পরিষ্কার, এবারের ভোটে সমাজের সব স্তরের মানুষের সমর্থনই আদায় করতে চাইছে বিজেপি। বাঁকুড়া শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউরি এখনও পর্যন্ত ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। জমা দেওয়া মনোনয়ন পত্রে তাঁর যে সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয়েছে তা শুনলে অবাক হতে হয়। হলফনামা অনুযায়ী চন্দনা বাউরির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৩১ হাজার ৯৮৫ টাকা!

এখানেই শেষ নয়, শালতোড়া গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতেও পড়েনি সিমেন্টের প্রলেপ। কাঁচা বাড়িতে দৈনিক ৪০০ টাকা আয়ের দিনমজুর স্বামীর সঙ্গে দিন কাটান তিনি। বাড়িতে টিনের বাক্স আর বই খাতা রাখার টেবিল ছাড়া কোনো আসবাবপত্রও নেই চন্দনার। রাজনীতির ময়দানে এহেন অতি দরিদ্র প্রার্থী সত্যিই বিরল। আর তাই শালতোড়ার চন্দনা বাউরি উঠে এসেছেন চর্চার কেন্দ্রে।

জানা গেছে, স্বামী স্ত্রী দুজনেই ১০০ দিনের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের মাটির বাড়িতে পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই শৌচাগারও। মাধ্যমিক পাশ চন্দনা তিন সন্তান নিয়ে কোনোরকমে দিন সংসার চালান। তাঁর স্বামী শ্রাবণ বাউরী দীর্ঘদিন বিজেপির ব্লক কর্মী হিসেবে গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শালতোড়ার আসনটি এবছর তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় ভোটের টিকিট পেয়েছেন চন্দনা। চারিদিকে হেভিওয়েট কিংবা তারকা প্রার্থীর ভিড়েও কিন্তু জেতার ব্যাপারে আশাবাদী চন্দনা বাউরি। সেই অনুযায়ী পুরোদমে শুরু করেছেন প্রচারও। ছবি সৌজন্যে- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *