কলকাতা: উপাচার্য নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল তরজার মাঝেই ফের নিয়োগ৷ মধ্যরাতে কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার মধ্যরাতেই রাজভবনের তরফে এই খবর জানানো হয়৷ কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করা হয়েছে৷ সেই নিয়োগ নামায় সই করছেন খোদ রাজ্যপাল৷ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যপালের সই করার একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন৷ রাজ্যপালের নাম না-করেই তিনি যে ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন এবং নির্দেশনামা জারি করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি বোসের নির্দেশ মেনে চলে, তাহলে রাজ্যও ‘আর্থিক অবরোধ’ করবে৷ কারণ পাদাধিকার বলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হলেও, বেতন দেয় রাজ্যই৷ যদিও রাজ্যপাল সেই হুঁশিয়ারি ‘উড়িয়ে’ নিজের মতো করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফের উপাচার্য নিয়োগ করেন। এই ঘটনা রাজ্য এবং রাজভবন সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলল বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত৷
রবিবার রাতে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন করেন রাজ্যপাল। সোমবার তাঁদের নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগের আগে রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি বলেই অভিযোগ৷ গত ২ সেপ্টেম্বর রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সার্বভৌম অধিকর্তা হলেন উপাচার্য। ফলে তাঁর নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি কর্মীরা৷ মাথায় থাকবেন আচার্য৷ সরকার তাঁদের নির্দেশ দিতেই পারে। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানতে বাধ্য নন।