রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ! সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতারা

রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ! সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতারা

‘দ্য কেরালা স্টোরি‘ নিয়ে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। পশ্চিমবঙ্গে ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘৃণা ছড়াচ্ছে সিনেমা! এই ছবিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি রয়েছে!-এমনই অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসন সিনেমার প্রদর্শন বাংলায় নিষিদ্ধ করে। সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ছবি নির্মাতারা। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ছবির প্রযোজক। শীর্ষ আদালতের কাছে জোড়া আবেদন রেখেছেন। 

 

নির্মাতাদের তরফে, দ্য কেরালা স্টোরি‘ র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জির পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে যে সমস্ত সিনেমা হলে এই ছবির প্রদর্শন হচ্ছে, সেখানে যাতে প্রশাসন অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেয়, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করার আবেদন জানানো হয়। আগামী ১২ মে, অর্থাৎ শুক্রবার মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ।

 

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে বিতর্ক যাই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। মমতা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই বাঙালি পরিচালক তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটি না দেখেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ছবিটার জন্য পশ্চিমবঙ্গে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ 

শুধু ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতারাই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’ এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র কথা বলতে গিয়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে হেনস্থা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’। মমতার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে  মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’এর  পরিচালক বিবেক। মঙ্গলবার তিনি আইনি নোটিস পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকে। সমাজমাধ্যমের পাতায় পরিচালক লেখেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সম্পূর্ণ ভুল ও আপত্তিকর মন্তব্যের দ্বারা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’ ও আমাদের আগামী ছবি ‘দ্য দিল্লি ফাইল্‌স’-এর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এই মর্মে আমি, অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী তাঁকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি।’

 

বিতর্ক যাই হোক না কেন ব্যবসায়িক সাফল্যের নিরিখে দেশ জুড়ে ব্যবসা করছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। মাত্র ৩ দিনে এই ছবি ৩৫ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলেছে। ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার। শুক্রবার মামলার শুনানিতে কী জানাবে সুপ্রিম কোর্ট? এখন নজর সেদিকেই। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =