নয়াদিল্লি: বিশ্বজোড়া করোনা অতিমারী দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যে তান্ডব চালিয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে, তার রেশ এখনও কাটেনি। এই ভাইরাসের প্রকোপে শুধু যে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তাই নয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকেই এলোমেলো করে দিয়েছে করোনা সংক্রমণ।তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর করোনা নিয়ে মানুষের উদ্বেগ কমেছে। ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে হেঁটেছে জনজীবন। অতিমারী পরবর্তী এই আবহেই দেশের নুইয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র সরকার।
করোনাকালে লকডাউন ও তৎপরবর্তী সময়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন দেশের বহু মানুষ। এই বেকারত্বের কাঁটা দূর করতেই এবার নতুন নীতি আনতে চলেছে কেন্দ্র, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের তরফে ‘জাতীয় চাকুরি নীতি’ (National Employment Policy) প্রবর্তনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বস্তুত, করোনা কালে দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে মোদী সরকারকে প্রথম থেকেই আক্রমণ করে আসছে বিরোধী শিবির। জানা গেছে, এই নয়া নীতিতেই সমস্ত বিরোধিতার জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
ঠিক কী কী উদ্যোগ নেওয়া হবে নয়া কেন্দ্রীয় নীতিতে? কেন্দ্র সূত্রের খবর, সরকারের তরফ থেকে জনগণের কাছে ঘুরে ঘুরে চাকরি বিষয়ে চালানো হবে সমীক্ষা। চাকরির প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করতে হবে রিপোর্ট। তার ভিত্তিতেই বেকারত্ব দূরীকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এবং লেবার ব্যুরোর তরফে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। আগামী ৭ মাস ধরে সমীক্ষায় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তদারকিতে বহাল সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (CMIE) একটি রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা আবহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেতনভোগী চাকুরে এবং দিন আনি দিন খাই মজুরেরা। গত বছর মে থেকে আগস্ট এই চার মাসের মধ্যেই দেশ জুড়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন ৫৯ লক্ষ মানুষ। এহেন ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকেই ফের সচল করতে উদ্যোগী ভারত সরকার।