centre
নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র যে যথেষ্ট নড়েচড়ে বসেছে একাধিক পদক্ষেপেই তা স্পষ্ট হয়ে গেল। সোমবার রাতে কলকাতায় এসে মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এরপর তিনি বিকেলে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।
এরপরই খবর পাওয়া গেল সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পরপর ঘটনাগুলি সাজালে একটা কথাই বলতে হয়, নানা দিক থেকে রাজ্যের উপর আরও চাপ বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকদের পাশাপাশি সিআরপিএফ, এনআইএ প্রভৃতি দফতরের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল নবীন। বৈঠকে নিখোঁজ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় বলে খবর। তাঁকে বাগে পেতে কোন কৌশল অবলম্বন করা উচিত তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এরপরই গোটা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নবান্নের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার জানতে চেয়েছে হামলার ঘটনার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল সরকার। ইতিমধ্যেই ইডির তরফে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। স্থল, জল বা আকাশপথে সতর্কতা জারি করা হয়েছে যাতে শাহজাহান দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সেই লক্ষ্যেই জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। সবমিলিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল সরকার।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই টানটান উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। একের পর এক ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত ঘটনা অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। ঘটনার পর রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহের যথেষ্ট নড়ে চড়ে বসল কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার কী রিপোর্ট পাঠায় এখন সেটাই দেখার।