নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের অতিমারীর প্রকোপে বছর খানেকের বেশি সময় ধরে প্রাণ গিয়েছে অসংখ্য মানুষের। শুধু তাই নয় দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পড়েছে ভাইরাসের কোপ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, যাতায়াত, অতিমারীর হাত থেকে রেহাই পায়নি রাজনীতিও। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর করোনার ভ্যাকসিন এসেছে ঠিকই, কিন্তু এবার তার বণ্টন প্রক্রিয়ার জেরে তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। করোনা টিকা দেওয়ার কারণে পিটিয়ে গেল পোলিও টিকাকরণের দিন৷
আগামী রবিবার ১৭ জানুয়ারি জাতীয় পোলিও টিকাকরণ দিবস উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে টিকাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৬ তারিখ থেকেই রাজ্যে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এর জেরে পোলিও টিকাকরণের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে করোনা আবহে পোলিও টিকাকরণের নতুন দিনও ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় পোলিও টিকাকরণ দিবসের টিকাদান প্রক্রিয়া হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। দেশ জুড়ে করোনা টিকাকরণ শুরু হওয়ার প্রাথমিক রেশ সামলে নিয়ে পোলিওতে মনোনিবেশ করবে সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “কোভিডের টিকাকরণ প্রক্রিয়া এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে পোলিও টিকাকরণের সংঘাত এড়াতেই ১৭ জানুয়ারির পূর্বঘোষিত দিনটির বদল করা হয়েছে।” ১৬ তারিখ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে ভারতে শুরু হবে করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। একে ‘বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ’ বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আগামী ৩১ জানুয়ারি দেশ জুড়ে ‘পোলিও রবিবার’ পালন করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
বস্তুত ১৭ জানুয়ারি টিকাকরণ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য গুলিতে পোলিও ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তা গুদামে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দেশে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জনগণের মধ্যে তাই নিয়ে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। টিকাকরণের প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এরপর ধাপে ধাপে বৃদ্ধ, অসুস্থ প্রমুখকে টিকা দেওয়া হবে।