নয়া দিল্লি: ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-এ চরম জালিয়াতি! শুধু নিট নয়, ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়েও উঠেছে বিস্তর দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল হয়েছে নেট৷ তবে নিট পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি৷ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিএসআইআর-ইউজিসি-নেট পরীক্ষা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষায় নকল রুখতে কড়া আইন আনল কেন্দ্র।
নিট ও নেট দুর্নীতির ঘটনায় বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই মনাকি এই আইন সংসদে পাশ হয়েছিল। সাম্প্রতিক এই বিতর্কের জেরে দ্রুত এই আইন কার্যকর করা হল।
নয়া আইন অনুযায়ী, কোনও একজন বা একাধিক ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গিয়ে ধরা পড়লে ন্যূনতম ৩ বছর ও সর্বাধিক ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। কেউ উত্তরপত্র পরিবর্তন করলেও একই সাজা দেওয়া হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।
যদি কোনও নিয়ামক সংস্থা বা পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা পরীক্ষায় অনিয়ম বা জালিয়াতি সম্পর্কে জানার পরেও রিপোর্ট না করেন, তবে তাদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
তদন্তের সময় যদি দেখা যায়, কোনও আধিকারিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাহলে তাদের ন্যূনতম ৩ বছরের ও সর্বাধিক ১০ বছরের জেল হবে৷ সঙ্গে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
যদি খোদ পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে ন্যূনতম ৫ বছর ও সর্বাধিক ১০ বছর জেল হতে পারে। ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হতে পারে।