নয়াদিল্লি: করোনার জেরে মার্চ থেকেই বন্ধ দেশের পড়াশোনা। দেশের মোটামুটিভাবে সব স্কুল কলেজেই অনলাইনে পড়াশোনার পাঠ চলছে। পাশাপাশি সেপ্টেম্বর থেকে দেশের স্কুল কলেজ খোলার কথা ভাবা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ রাজ্যই এই প্রস্তাবে রাজি নয়। করোনা প্রভাব পুরোপুরি শেষ না হলেও অনেক রাজ্য স্কুল কলেজ খোলার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। ফলে কেন্দ্র বর্তমানে অনলাইন পড়াশোনার ওপর জোর দিতে চাইছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও হাজার সমস্যার মুখোমুখি দেশের সমস্ত স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা তথা পড়ুয়ারা।
অনলাইনে পড়াশোনার জন্য যেটি সর্বপ্রথম জরুরি, তা হল ইন্টারনেট। কিন্তু ভারতের ইন্টারনেট পরিকাঠামোর অবস্থাও স্থানভেদে খুব একটা ভাল না। এনসিইআরটি'র এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ২৭ শতাংশ পড়ুয়ার কাছে উপযুক্ত মাধ্যম যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপ না থাকায় অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে তাদের সমস্যায় পরতে হচ্ছে। অন্যদিকে, ২৮ শতাংশ পড়ুয়া ভুগছেন ইন্টারনেট সমস্যায়। দেশের সর্বত্র দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক পড়ুয়া তথা শিক্ষক শিক্ষিকাদের।করোনার জেরে পড়াশনা করানো যেহেতু ভাল করে সম্ভব হচ্ছে না শিক্ষামন্ত্রকের তাই মাথায় হাত, বলাই বাহুল্য।
ইন্টারনেট সমস্যার পাশাপাশি এনসিইআরটি'র রিপোর্ট অনুযায়ী, অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রেই সমূহ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এনসিইআরটি কর্তৃক 'স্টুডেন্টস লার্নিং এনহান্সমেন্ট গাইডলাইন' নামে পেশ কড়া রিপোর্টে দেখা গেছে দেশের ৪৫.২ শতাংশ পড়ুয়াদের অনলাইনে অঙ্কের মতো বিষয় বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। ৭৮.১ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও অনলাইনে অঙ্ক বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না। সমীক্ষায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন অনলাইন পড়াশোনা সমস্যায় জর্জরিত। ১০ শতাংশ পড়ুয়াদের কাছে কোনও ভাবেই অনলাইন পড়াশোনা করা সম্ভব নয়। তাই এই বছরকে 'জিরো ইয়ার' ঘোষণা না করেও কীভাবে পড়াশোনা করানো যায়, সেই চিন্তায় মগ্ন নরেন্দ্র মোদী সরকার।