কলকাতা: ফের বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ! এবার কেন্দ্রের কোপে রাজ্যের প্রায় এক লক্ষ প্রবীণ নাগরিকের বার্ধক্যভাতা বন্ধ হয়ে গেল। কেন এমনটা করা হল? তার কোনও সদুত্তর অবশ্য মেলেনি৷
একদিকে কমেছে ব্যাঙ্কের সুদ৷ অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ৷ এবার কোপ পড়ল বার্ধক্য ভাতাতে৷ এর কারণ হিসাবে নবান্নের পদস্থ কর্তারা মনে করছেন, কিছু উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক না হওয়ার বিষয়টিকেই ‘অজুহাত’ হিসাবে খাড়া করতে চাইছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কমানো হচ্ছে কোটা৷ পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘বাংলার মানুষকে প্যাঁচে ফেলতে এটাও কেন্দ্রের এক কৌশল।’’ তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আসন্ন দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্য ভাতাকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত দফতরের মাধ্যমে যাঁরা বার্ধক্য, বিধবা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভাতা পেয়ে থাকেন, সেই টাকার একটা অংশ আসে কেন্দ্রের কোষাগার থেকে৷ ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের অধীনে রাজ্যগুলিকে এই টাকা পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বেশিরভাগটাই দেয় রাজ্য৷ আমাদের রাজ্যে এক হাজার টাকার মধ্যে সরকার দেয় ৭০০ টাকা আর কেন্দ্র দেয় ৩০০ টাকা৷ শুধু ৮০ বছরের বেশি বয়স্কদের কেন্দ্রের তরফে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। গত বছর এক্ষেত্রে রাজ্যের কোটা ছিল ২০.৬৭ লক্ষ। ২০২২–২৩ অর্থবর্ষের একটি কিস্তি এহং ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তি মিলিয়ে মোট ৪২২ কোটি টাকা পাঠানো হয় রাজ্যে৷ একইসঙ্গে পশ্চিমবাংলার নতুন কোটা বেঁধে দেয় মোদী সরকার। সেই সংখ্যাটা ১৯.৭১ লক্ষ। বলা হয় এই ১৯.৭১ লক্ষ উপভোক্তার জন্য এনএসপি’র টাকা দেওয়া হবে৷ অর্থাৎ এক ধাক্কায় বাংলার এক লক্ষ প্রবীণ নাগরিকের বার্ধক্যভাতা বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।