মমতার স্বাস্থ্য দফতরের কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্র! শংসাপত্র পেল ন্যাশনাল মেডিক্যাল

মমতার স্বাস্থ্য দফতরের কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্র! শংসাপত্র পেল ন্যাশনাল মেডিক্যাল

 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য সরকার ‘ব্যর্থ’ বলে বাংলায় প্রচারে ঝড় তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি শিবির৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল খোদ রাজ্যপালকেও৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতারা৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলা-সফরে এসে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল৷ নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় দলের বাংলা সফর নিয়ে কম রাজনীতি হয়নি বাংলার ময়দানে৷ লকডাউনে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাতের পর এবার আনলক পর্বে ধরা দিল উল্টো ছবি৷ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার রাজ্যের উদ্যোগে খুশি হওয়ার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দ্র৷ দেওয়া হল শংসাপত্র৷

একদিকে করোনা, অন্যদিকে ২১-এর নির্বাচন৷ রাজনৈতিক চাপানউতোর পর্বে বিনা যুদ্ধে ‘সূচাগ্র মেদিনী’ ছাড়তে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল বিজেপি-তৃণমূল৷ রাজনৈতিক মঞ্চে তৃণমূল-বিজেপির লড়াই চললেও সরকারি স্তরে ধরা দিচ্ছে অন্য ছবি৷ রাজনৈতিক সংঘাতের আবহে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ ভালো কাজের সুবাদে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগকে৷ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে সুখবর দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ৷ ভালো কাজের জন্য করা হয়েছে ভূয়সী প্রশংসা৷

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বভারতীয় সূচকে  চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার উন্নত৷ ভালো পরিষেবা৷ সেই মান্যতাস্বরূপ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রের সূচক অনুযায়ী ন্যাশনালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগ পেয়েছে ৮৮.৭৯% নম্বর৷ প্রসূতিদের অপারেশনে ৮৩.৩৩%  নম্বর দিয়েছে কেন্দ্র৷ গত ১৪ অক্টোবর ২ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ভার্চুয়ালি ন্যাশনালের স্ত্রীরোগ বিভাগের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে এই নম্বর দিয়েছে বলে খবর৷

অন্যদিকে, আনলক পর্বে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গে কমছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা৷ দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেক বেশি রাজ্যে৷ টানা ৪১ দিনে সুস্থ হচ্ছেন বহু মানুষ৷ বাংলার এই পরিসংখ্যানে সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যের উদ্যোগে খুশি কেন্দ্র৷ বাঙালির প্রাণের উৎসবে করোনা সংক্রমণ রুখতে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ করোনা রুখতে হাইকোর্টের কড় অবস্থানের সুফল এবার পেতে চেলেছে রাজ্য৷ দুর্গা পুজোর পরেও বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও সংক্রমণ খুব একটা বৃদ্ধি হয়নি৷ উৎসবে সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের ভূমিকায় খুশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সুস্থতা ক্রমশ বাড়ছে৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে৷ বাংলায় পাশাপাশি করোনার তাণ্ডব দেশেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে৷ আনলক পর্বে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সেখানে সমস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়৷ সেখানে বাংলা-সহ বেশ কিছু রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়েছে কেন্দ্র৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =