BREAKING: আগামী সপ্তাহেই ভোটের দিন ঘোষণা? আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

BREAKING: আগামী সপ্তাহেই ভোটের দিন ঘোষণা? আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতা: এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি৷ কিন্তু ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগেই মিটিং-মিছিল, রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দান৷ নীলবাড়ি দখলের লক্ষ্যে শাসক-বিরোধী শিবিরের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিজেদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ঘুরে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ এবার ভোট ঘোষণার দিন-চারেক আগেই বাংলায় চলে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷

সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে ঢুকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কলকাতা সহ রাজ্যের স্পর্শ কাতর এবং অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে পরিদর্শন শুরু করবে এই বাহিনী৷ জানা গিয়ছে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় পাঠানো হচ্ছে বলে খবর৷ এর মধ্যে থাকছে সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ। এছাড়াও থাকছে এসএসবি, আইটিবিপি। আগামী কাল রাজ্যে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় পা রাখতে চলছে৷  সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে বাংলা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ ভোটের দিন ঘোষণার আগে আগামীকাল রাজ্যে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ গতবারের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণ কেন্দ্র বাহিনী আসতে চলেছে বাংলায়৷ ৮০০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে বাংলায়৷ স্পর্শকাতর বুথ বেশি হওয়ার সম্ভব তৈরি হয়েছে৷ এবার বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা৷ আগামীকাল বাংলায় চলে আসতে পারে কেন্দ্র বাহিনী৷ আগামী সপ্তাহে ভোট ঘোষণার আগেই শনিবার ৫০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলা পা রাখতে পারে সূত্রের খবর৷

নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়া মাত্র বাংলায় পা রাখবে বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে ভোটের দামামা বাজা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচনের আগে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে সাধারণত রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। প্রায় মাস খানেক আগে থেকেই সে উদ্দেশ্যে রাজ্যে পা রাখে বাহিনী। গত লোকসভা ভোটেও এর অন্যথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় ১ মাস আগে থেকেই রাস্তায় ঘুরে ঘুরে টহল দিয়েছিল ২৮ কোম্পানি বাহিনী। তারও আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল ৪০ কোম্পানি বাহিনী। এবছর বাহিনীর আয়তন কেমন হবে তা নিয়ে যথারীতি শুরু হয়েছে জল্পনা৷ বিশেষত, একুশের ভোটের আগে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে চাপা উত্তেজনা স্পষ্টই অনুভূত হয়৷ বস্তুত, এবারের ভোটের দীর্ঘদিন আগে থেকেই বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। একাধিক বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার আবেদন নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতেও দেখা গেছে বিরোধীদের। করা হয়েছে অনাস্থার নালিশও। গত বিধানসভা নির্বাচন ছিল সাত দফার। এবার সেই সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এবছর রাজ্যে বুথের সংখ্যা অনেক বেশি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 12 =