নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে লাগাতার রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে কার্যত নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এলপিজি সিলিন্ডারের দাম গত ছক মাসেই বেড়ে গেছে ১২৫ টাকা। এমতাবস্থায় গ্যাসের দামে স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তার ছায়া পড়েছে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে। কিন্তু, জানেন কি, এই গ্যাস থেকেও কত টাকা আয় হচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের?
গ্যাস সিলিন্ডারের বর্ধিত দাম থেকে কিন্তু ফায়দা তুলছে কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকার৷ সিলিন্ডার কেনার পর দামের বিবরণ সহ যে বিল গ্রাহকের কাছে দেওয়া হয়, তার খুঁটিনাটির দিকে তাকালেই মিলবে দুই সরকারের রাজস্বের খোঁজ। জানা যাচ্ছে, সিলিন্ডার প্রতি রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয় সরকারই ২০ টাকা করে কর আদায় করছে৷ ২.৫ শতাংশ বসানো আছে কর৷ অর্থাৎ, যতই ভোটের আগে রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে চলুক রাজনৈতিক তরজা, কেন্দ্র-রাজ্য কোনো সরকারই কর আদায়ে কম যায় না!
রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় প্রতি মাসেই বেড়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে যে অস্বাভাবিক হারে দফায় দফায় এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধির সাক্ষী থেকেছে সাধারণ মানুষ, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য যথারীতি কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী ব্রিগেড সমাবেশের দিনেও গ্যাসের বর্ধিত মূল্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি৷ গ্যাসের বর্ধিত দামের জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল তোলার আগে তা থেকে যে বাড়তি আদায় করছে রাজ্য, তা কেন ছাড়া হচ্ছে না? উঠেছে প্রশ্ন।
এদিকে রাজস্ব আদায়ে কেন্দ্র সরকারের লাভের দিকটাও চোখে পড়ার মতো। ভর্তুকি না দিলেও গ্যাসের প্রতি সিলিন্ডার থেকে কেন্দ্রের আদায়কৃত করের পরিমাণ ২.৫%। বর্তমানে গ্যাসের দাম বাবদ ৮৪৫.৫০ টাকা দিতে হচ্ছে জনগণকে। কিন্তু গ্যাসের রশিদ অনুযায়ী এর মূল দাম ৮০৫.২৪ টাকা। এক্ষেত্রে জিএসটি বাবদ কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই পাচ্ছে ২০.১৩ টাকা। স্বভাবতই মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে করের পরিমাণ কেন কমানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ উল্লেখ্য, গত ৭ বছরে দেশে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ, সম্প্রতি এমন কথা সংসদে স্বীকার করেছেন খোদ কেন্দ্রী মন্ত্রী৷