নয়াদিল্লি: করোনা আবহে ২০২০ সালে নতুন শিক্ষা নীতি ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। জাতীয় এই শিক্ষা নীতিকে গোটা বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা সংস্কার বলেও দাবি করেছিলেন সংসদীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। এহেন কেন্দ্রীয় নীতি কার্যকর করার জন্যই এবার প্রচলিত শিক্ষা তথা পরীক্ষা কাঠামোকে আমূল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই (CBSE)।
সিবিএসই বোর্ডের নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি এদিন উদ্বোধন করেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। মূলত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির ক্ষেত্রেই নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মহলের দাবি, সিবিএসই-র নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির ফলে পড়ুয়াদের শিক্ষার মান অনেক উন্নত হবে। শুধুমাত্র মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করে যে আর পরীক্ষার বৈতরণী পার করা যাবে না, সে দাবিও করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
ঠিক কেমন হতে চলেছে সিবিএসই বোর্ডের নয়া পরীক্ষা পদ্ধতি? জানা গেছে, বর্তমানে যে লার্নিং মডেল অর্থাৎ পড়া মুখস্থ করার পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের উপর আরোপ করা হয়, আগামী দিনে তা আর থাকবে না। বরং প্রতিনিয়ত পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের পারদর্শিতার যাচাই করে তাঁদের যোগ্যতার মান নির্ধারণ করা হবে। এই পদ্ধতিতে আগামী দিনে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও অঙ্ক, এই তিন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নত হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্র সরকার।
সিবিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে বদলানো হবে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি। প্রথম দফার জন্য বেশ কিছু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নভোদয় বিদ্যালয়, চণ্ডীগড়ের বিদ্যালয়গুলি ও বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও খবর মিলেছে সূত্র মারফত। সারা দেশের প্রায় ২৫,০০০ সিবিএসই স্কুলেই ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন পরীক্ষা কাঠামো চালু করার বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় বোর্ড। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘোষিত নয়া শিক্ষা নীতিতে ছাত্র ছাত্রীদের দক্ষতা, বোধশক্তির বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ফলে মুখস্থ বিদ্যার দ্বারা আর বিশেষ লাভ যে হবে না, তা বলাই বাহুল্য।