cbi
কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শিকর অনেক গভীরে বিস্তৃত৷ এর গভীরতা প্রসঙ্গে ব্যখ্যা দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে নানা উদাহরণ৷ এর আগে প্রাথমিক টেট-এর দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিবিআই কৌঁসুলি টেনে এনেছিলেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উপমা। এ বার শিক্ষা এবং পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে আমেরিকার টুইন টাওয়ারের পাশাপাশি উঠে এল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার প্রসঙ্গ।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সে সময়ই সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির আমেরিকার টুইন টাওয়ারের মতোই বৃহৎ। একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, অন্যটি তাহলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি সিনহা পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন। এই মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই কৌঁসুলির মন্তব্য, ‘‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললে অত্যুক্তি হবে না।’’
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যর প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূলের অনেক নেতা। তদন্তকারীদের দাবি, জেলায়-জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে চাকরি বেচা হয়েছে৷ সেই তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে এসেছে। অধিকাংশের অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতির বীজ বপন হয়েছিল ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট থেকে। টেট-এর প্রশ্নে যে ভুল ছিল, তা প্রমাণ করার পরেও নম্বর না-দেওয়া, এবং এসবের ফাঁকে অবৈধ নিয়োগ চলেছিল বলেই অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের চাকরি বাঁচাতে কার্যত রুখে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। যা দেখার পর চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, প্রাথমিকে নিয়োগে গগনচুম্বি দুর্নীতি হয়েছে। একই কথা খাটে এসএসসি-র ক্ষেত্রেও।