নয়াদিল্লি: চার রাজ্যের প্রায় ৪৫ টি জায়গায় তল্লাশি চালালো সিবিআই। বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে বাংলা, ঝাড়খন্ড সহ একাধিক জায়গায় শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বর্ধমান, পুরুলিয়ার মতো জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো ছাড়াও, পাটনা, ভাগলপুরে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের দল। শহরের সল্টলেক এলাকাসহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায় তল্লাশি করেছে সিবিআই।
বেআইনি কয়লা পাচারকার কাণ্ড এর আগেও ব্যাপকভাবে তৎপরতা দেখিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তল্লাশি চালানো হয়েছিল আসানসোল, বর্ধমান সহ একাধিক এলাকায়। তখন বেশ কয়েকজনের নাম সামনে উঠে এসেছিল। বিরোধীপক্ষের অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বেআইনি এই কয়লা কারবারিদের বাড়ি এবং অফিসসহ তাদের একাধিক আস্তানায় হানা দিয়েছে সিবিআই। এই তল্লাশি অভিযান অনুপ মাঝি নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি করে সিবিআই। মূলত বেআইনি কয়লা পাচারকারীদের মাথা হিসেবে পরিচিত এই অনুপ মাঝি। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ড সীমান্তে বেআইনিভাবে কয়লা পাচারের সঙ্গে বহুদিন ধরেই যুক্ত তিনি। এই মাসের প্রথমদিকে আয়কর দপ্তর থেকে তদন্ত করা হয় এবং তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এই অনুপ মাঝিকে কেন্দ্র করে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেছিলেন, অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে নিয়ে চিন্তিত মমতা!
যদিও এই সিবিআই তদন্তের তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই কটাক্ষ করেছে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, যখনই নির্বাচন আসে তার আগেই কেন্দ্রের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। গোয়েন্দা সংস্থা লেলিয়ে দিয়ে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করে তারা। ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটেছে। এক্ষেত্রে সারদা এবং নারদা কান্ডের কথাও বলেন তৃণমূলের মুখপাত্ররা। সেই মামলাতেও হঠাৎ তৎপরতা বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। সম্প্রতি গরু পাচার কাণ্ডে বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে সকলের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে অঙ্গ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। এবার কয়লা কেলেঙ্কারিতেও অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।