পাটনা: রেলে চাকরির বদলে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ৷ বিহারে জমি দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট জমা দিল সিবিআই৷ তাতে নাম রয়েছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী ও পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে৷
এই দুর্নীতিকাণ্ডে লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজ্বপ্রতাপ ছাড়া গোটা পরিবারেরই নাম জড়িয়েছে। তদন্ত চলছে বড় মেয়ে মিসা ভারতী সহ বিবাহিত চার কন্যার বিরুদ্ধেই। তাঁরা সকলেই আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে সিবিআই চাইলে যে কোনওদিন গ্রেফতার করতে পারে গোটা যাদব পরিবারকে৷
তেজস্বী তো বটেই তাঁর বোনেদের বাড়িতেও গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি-সিবিআই৷ লালু বিদেশ থেকে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করিয়ে আসতে না আসতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়৷ তা নিয়ে অবশ্য বিস্তর বিতর্কও হয়েছিল। কারণ সংক্রমণের আশঙ্কায় সেই সময় বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল লালুপ্রসাদকে৷ সোমবার এই মামলায় দ্বিতীয় দফার চার্জশিট দেয় সিবিআই৷ তাতে সপরিবার লালুপ্রসাদের নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷
সোমবার সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটের ভিত্তিতে শুনানি হবে আদালতে৷ এর পর লালুপ্রসাদ এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের জেলে যেতে হবে কিনা, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে লালুর পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। প্রতিবাদে শরিক জনতা দল ইউনাইটেডকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৪-থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব৷ সেই সময় বিহারের বহু বেকার ছেলেমেয়েকে তিনি রেলে চাকরি করে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিনিময়ে চাকরিপ্রাপকদের জমি-জায়গা অল্প দামে স্ত্রী রাবড়ি দেবী, মেয়ে মিসা, ছেলে তেজস্বী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজনের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। জমির বাজার মূল্যের তুলনায় অনেক কম দামে চাকরিপ্রাপকদের কাছ থেকে জমি হাতিয়ে লালুপ্রসাদের পরিবার বিপুল টাকা উপার্জন করেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি।