নয়াদিল্লি: ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তথা সিবিআই। বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়ে তদন্তের জন্য হানা দিচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, সিবিআইয়ের শমনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। সেই সূত্রে এবার নিজেদের ঘরের লোককেও আটক করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন।
সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার (Anti-corruption unit) তরফ থেকে একাধিক সিবিআই অফিসারকে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। শুধু তাই নয়, তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় সিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টার্সে হানাও দিচ্ছেন অফিসাররা। একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের কিছু অফিসারের বিরুদ্ধে, এদিন সেই খবর পেয়েই নিজেদের অন্দরমহলে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
বৃহস্পতিবার গাজিয়াবাদের একটি সিবিআই অফিসে তদন্ত চালান দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীরা। জানা গেছে, ওই অফিসের ৪ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন, ডিএসপি আরকে ঋষি, ডিএসপি আরকে সাঙ্গওয়ান ছাড়াও ব্যাঙ্কিং সিকিউরিটি ফ্রড সেলের (BSFC) দুই অধিকর্তা ইন্সপেক্টর কপিল ধনখড় এবং স্টেনো সমীর কুমার সিং। নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে এই অফিসারদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
সিবিআই মুখপাত্র আরসি যোশী এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি, গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরগাঁও, মীরাট এবং কানপুর সহ মোট ১৪টি জায়গায় তদন্ত চালানো হয়েছে।’’ বস্তুত গাজিয়াবাদের সিবিআই অ্যাকাডেমিতে ভবিষ্যতের জন্য তরুণ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের এই হানা এবং অফিসারদের আটকের ঘটনা গাজিয়াবাদের অ্যাকাডেমির পক্ষে তাই যথেষ্ট নিন্দনীয় এবং অস্বস্তিকর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহারাষ্ট্রের শিবসেনা দলের নেতা সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউতকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তা নিয়ে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ইতিমধ্যে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। এবার কাঠগড়ায় সিবিআইয়ের অন্দরের অফিসাররাই।