লক্ষ্ণৌ: পশ্চিমবঙ্গে বেজে গেছে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রণডঙ্কা। আর ভোটের আবহে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই কয়লা পাচার, গোরু পাচারসহ একাধিক মামলায় বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। বাংলায় চিটফান্ড কাণ্ডের বিচারের ভার বহুদিন আগেই গ্রহণ করেছিল সিবিআই। এদিন সেই মামলায় গোয়েন্দাদের জালে জড়ালেন এক বেসরকারি সংস্থার দুই আধিকারিক।
উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি এক চিটফান্ড কোম্পানির দুই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। বর্ধমান জেলার আসানসোলে ওই কোম্পানি গড়ে উঠেছিল। প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন সংস্থার আধিকারিকরা। দীর্ঘ ৩ বছরের তদন্তের পর আজ ১৮ মার্চ লক্ষ্ণৌয়ের গোমতি নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই প্রতারককে।
জানা গেছে, ধৃত দুজনের নাম সাকেত ব্যানার্জী এবং কমলজিৎ ব্যানার্জী। তাঁদের কোম্পানির নাম ছিল গ্লোবাল ইনফ্রা এনার্জি লিমিটেড। ২০১৭ সালে ঝাড়খণ্ডের জামতারা থেকে প্রথম পুলিশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাঁদের নামে। এরপর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন দুজন।
ঠিক কী অভিযোগ এই দুই ধৃতের বিরুদ্ধে? পুলিশ সূত্রের খবর, সাধারণ জনগণের কাছে স্বল্প সময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন তাঁরা। নিজেদের প্রতিশ্রুতি জোরদার করতে, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে আরবিআই, আরওসি-র মতো বড় বড় সংস্থার নামও করতেন তাঁরা। কোম্পানির নানাবিধ বিনিয়োগ প্রকল্পে গ্রাহকের টাকা ঢালতে উৎসাহিত করা হত। কিন্তু তাঁদের কাছে যাঁরা আশা নিয়ে টাকা রেখেছিলেন তাঁরা কোনো কিছুই আর ফেরত পাননি। বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন ওই দুই আধিকারিক।
এদিন ধৃত দুজনকে গ্রেফতারির পর নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে। আদালত তাঁদের আপাতত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।