ভোট কিনতে ‘ক্যাশ কুপোন’ বিলি বিজেপি’র, কমিশনকে দুষল তৃণমূল

ভোট কিনতে ‘ক্যাশ কুপোন’ বিলি বিজেপি’র, কমিশনকে দুষল তৃণমূল

b598d5f04dac2de3394d8bd354766961

কলকাতা:  এবার ভোটে বিজেপি’র বুলি সোনার বাংলা৷ এই সোনার বাংলা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই গড়ে ফেলেছেন, নয়তো মোদী ম্যাজিকে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ বঙ্গ সোনার বাংলা হয়ে উঠেছে৷ না হলে কি ১০০০ টাকার কুপোন কেটে ডোনেশন দিতে পারে বাংলার মানুষ? 

আরও পড়ুন – রাফাল ‘দুর্নীতি’? বিজেপিকে ফাঁপড়ে ফেলতে মরিয়া তৃণমূল!

যদিও তৃণমূল ও সিপিএমের দাবি, টাকা দিয়ে ভোটার কিনেছে বিজেপি৷ তৃতীয় দফা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের লালপুর অঞ্চলে ভোটারদের টাকার কুপন বিলি করেছে বিজেপি৷ এই দুই দলের পক্ষ থেকেই বলা হয়, স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা প্রার্থীর নেতৃত্বে লালপুর অঞ্চলের ভোটারদের ১০০০ টাকার কুপন দেওয়া হয়েছে। ১ এপ্রিল জয়নগরে মোদীর জনসভায় যোগ দান ও বিজেপি’কে ভোট দিয়ে সেই কুপন দেখালেই তাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপি’র পাল্টা দাবি, জয়নগরের সভার জন্য এটা ডোনেশনের রিসিপ্ট৷ তৃণমূল ও সিপিএমের আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন রায়দিঘির বিজেপি প্রার্থী শান্তনু বাপুলি৷ 

এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার কথা ঢাকঢোল বাজিয়ে ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ সব রকম ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদান এবং বিজেপি’কে ভোট দেওয়ার জন্য ‘ক্যাশ কুপোন’ বিলি করা হল এখানে৷ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি’র লোকেরা কুপোন বিলি করেছে৷ যে কুপোনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ তাঁর জনসভার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে ১ হাজার টাকার অঙ্কও উল্লেখ করা হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- মঞ্চে মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের পাথর! থানায় ছুটলেন কেন্দ্রীয় নেতা!

তিনি বলেন, বিভিন্ন দলীয় সূত্র ও সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, যাঁরা মোদীর জনসভায় যাবেন এবং বিজেপিকে ভোট দেবেন তাঁদের ১০০০ টাকা নগদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ এই বিষয়টি থেকে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি কী ভাবে এড়িয়ে গেল তা আমাদের কাছে বিরাট রহস্য৷ তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে আইনানুগ তদন্ত করে অবিলম্বে টাকার বিনিময়ে ভোট বন্ধ করা হোক৷       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *