তৃতীয় দফা: অপরাধের কালি মেখে ভোটের ময়দানে ২৬% প্রার্থী!

তৃতীয় দফা: অপরাধের কালি মেখে ভোটের ময়দানে ২৬% প্রার্থী!

কলকাতা: রাত পোহালেই রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ। মঙ্গলবার রাজ্যের ৩ জেলার ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এই ৩১টি কেন্দ্রের নির্বাচনী লড়াইতে অংশ নেবেন ২০৫ জন প্রার্থী। গত দুই দফার নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিজেপি-তৃণমূলের দ্বন্দ্বে। কখনও তা দলগত, কখনও তা প্রার্থীগত। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস তাদের রিপোর্টে তৃতীয় দফার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রে লাল সর্তকতার কথা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় দফার নির্বাচনে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে ২৬ শতাংশকে প্রার্থী করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তৃতীয় দফার ৩১টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের অপরাধের ফিরিস্তি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি- এই ৩ জেলা মিলিয়ে তৃতীয় দফায় ভোট হবে ৩১টি কেন্দ্রে। মোট ২০৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৩ জনের নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা চলছে। যার মধ্যে আবার ৪৩ জনের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। দলগতভাবে সবচেয়ে বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রার্থীদের। তাদের ১০০ শতাংশ প্রার্থীদের নামে চলছে মামলা। অন্যদিকে, প্রধান দলগুলোর মধ্যে বিজেপির মোট ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা চলছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন প্রার্থীর নামে মামলা রয়েছে। সিপিআইএম-এর মোট ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের মামলা চলছে।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে ৯ জন এমন প্রার্থী রয়েছেন যাদের নামে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কিত ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আবার ৩ জন প্রার্থীর নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রয়েছে। ১৬ জন এমনও প্রার্থী রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে তৃতীয় দফার নির্বাচনে মোট ৮টি কেন্দ্রে লাল সর্তকতার কথা জানানো হয়েছে। কোনও বিধানসভা কেন্দ্রের ৩ বা তার বেশি প্রার্থী নিজের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কথা ঘোষণা করে থাকেন তাহলে সেই কেন্দ্রে লাল সতর্কতার কথা জানায় এই সংস্থা। প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে কড়া নির্দেশ দিলেও তা মানতে চায়নি কোন দলই। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন ২৬ শতাংশকে টিকিট দিয়ে প্রার্থী করেছে দলগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =