কলকাতা: গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হত ছাত্র-ছাত্রীদের। এই ভর্তি প্রসঙ্গে পড়ুয়াদের স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছিল, নথি ভুল প্রমাণিত হলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। অবশেষে হলও তাই। মার্কশিটের গরমিল, ভুল নথি, ইত্যাদি কারণে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আবেদনপত্র জমা নেওয়ার ডেডলাইন পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর করা হয়েছে। আগে যা ১০ নভেম্বর ছিল।
জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য পড়ুয়ারা অনলাইন ফর্ম বহু ক্ষেত্রে ফিলাপ করতে পারেনি, এদিকে একাধিক নথি আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। মূলত গোলযোগের কারণে আপাতত ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির পোর্টালও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে আবেদন করার ডেডলাইন। কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে, এদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলতে বলা হয়েছিল। তবে এখন ভর্তির প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও অস্বস্তি বেড়েছে পড়ুয়া মহলে।
যদিও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে এখনো স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলার সম্ভাবনা নেই। প্রথমে অনুমান করা গিয়েছিল, হয়তো ডিসেম্বর মাসে খুলে যেতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি রাজ্য প্রশাসন। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিতে চাইছেে না রাজ্য। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল কবে থেকে খোলা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে কালীপুজোর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই একাধিক জটিলতাকে সরিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।