কলকাতা: বন্যার ক্ষতিপূরণের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷ পাশাপাশি মালদহের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামুখী সাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এধিন তা জানতে চায় বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- ফুরচ্ছে মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ, দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল
এদিন মামলাকারীরা পক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিপূরণের জন্য মোট ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তার মধ্যে বারওয়া ব্লকের জন্য ১০ কোটি বরাদ্দ হয়। অভিযোগ, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে বারবার টাকা জমা হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই বিষয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার চার বছর পর ২০২১-এর ২২শে জুলাই পঞ্চায়েত প্রধান সোনামুখী সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
এই মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে প্রশ্ন করেন, সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, শোকজ ও নোটিস জারি করা হয়েছে। কিছু টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। ফের প্রধান বিচারপতির বলেন, এটা পদক্ষেপ? একটা পঞ্চায়েতে এই অবস্থা৷ তাহলে সর্বোত্র কী হচ্ছে৷ কোনও গ্রেফতার হয়েছে কি? এই অপরাধে তো ৪০৯ যাবজ্জীবন শাস্তি হয়। এই মমলায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷