নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর ভ্রুকুটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতিকেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছিল। ২০২১ সালের শুরুতেই ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা বাজারে আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের ঘোষণার পর করোনার দৌরাত্ম্য থেকে কিছুটা হলেও মিলেছে স্বস্তি। সেই আবহেই এবার শুরু হতে চলেছে সংসদীয় বাজেট অধিবেশন।
জানা গেছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার ক্যাবিনেট কমিটির তরফ থেকে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের খবরে। মনে করা হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দফা চলবে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর মাঝে কিছুটা বিরামের পর ফের ৮ মার্চ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার অধিবেশন। চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
বস্তুত, অতিমারীকালীন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে সংসদের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত বছর নির্ধারিত সময়ের ৮ দিন আগেই মুলতুবি করা হয়েছিল বাদল অধিবেশন। এমনকি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনও হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী কোনো অধিবেশন বাতিল করা হলে তার পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ডাকতে হয় দ্বিতীয় অধিবেশন। এই কারণেই বাজেট অধিবেশন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ইতিমধ্যে এ নিয়ে তিনি মুখও খুলেছেন। জানিয়েছেন আগামী বাজেটে দেশের মানুষের জন্য থাকতে চলেছে বেশ কিছু চমক। শুধু তাই নয়, গত ১০০ বছরে এমন বাজেট দেখা যায়নি বলেও দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্যের পর নয়া বাজেটকে কেন্দ্র করে স্বভাবতই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
শোনা যাচ্ছে, বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদের উভয় কক্ষে ভাষণ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। বস্তুত, কোভিড অতিমারীর জেরে ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা হয়ে পড়েছিল শোচনীয়। এই ম্লান অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই আগামী বাজেটে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন, কৃষক আন্দোলন এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদাও বেশ চাপে রেখেছে সরকারকে। যথাযথ করোনা বিধি মেনেই সংসদের বাজেট অধিবেশন আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।