বুদ্ধবাবু সৎ লোক, গেরুয়া শুভেন্দুর মুখে এবার বাম-নাম!

বুদ্ধবাবু সৎ লোক, গেরুয়া শুভেন্দুর মুখে এবার বাম-নাম!

 

মেদিনীপুর: ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে প্রশংসা করলেন বাম জমানার। বিজেপিতে যোগদানের পর কেশপুরে প্রথমবার সভা করেন শুভেন্দু। সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার পাশাপাশি প্রশংসায় ভরিয়ে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-সহ বামপন্থীদের।

দুদিন আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো পুরুলিয়ার সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘পচা জিনিস, ভালোই হয়েছে দল থেকে বেরিয়ে গেছে। থাকলেই জ্বালাতো।’’ সেই কথার জবাবে এদিন শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘পচা জিনিস বেরিয়ে গেলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন?’’ কেশপুরের মঞ্চ থেকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘শেষ ১০ বছরে কেশপুরে মাননীয়াকে দেখেছেন? এসেছেন উনি? ভোট আসলেই নন্দীগ্রাম-কেশপুরের কথা মনে পড়ে না?’’ কেশবপুরের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ২১ বছর পর তৃণমূল কেন ছাড়লাম জানেন? কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আমি সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি, কিন্তু কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না।’’ 

তবে তৃণমূলকে ধারালো বাণে বিঁধলেও মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের মুখে প্রশংসার সুর শোনা গেল বিদায়ী শাসকদল বামপন্থীদের জন্য৷ বললেন, ‘‘তৃণমূলের থেকে বামেরা অনেক ভালো৷ বামেরা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে৷ ১৯৭৮ সালে পঞ্চায়েত তো বামফ্রন্টই করেছে৷ ওদের সময়ে বাংলায় প্রত্যেক বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে৷ কিন্তু তৃণমূল এসে সেখানে সাড়ে ৫ লক্ষ পদ কমিয়ে দিয়েছে৷ তৃণমূল জমানায় কর্মসংস্থান হল চুক্তিভিত্তিক।’’ কেশপুরের মানুষের কাছে শুভেন্দু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, ‘‘২০১১ সালে বাংলায় বদল এলেও কেশপুরে আসেনি। ২০১৩ সালে অবশেষে কেশপুর পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূল জিতল। কিন্তু যে আশা নিয়ে কেশপুরের মানুষ পরিবর্তন আনলেন, সেই আশা পূরণ হয়েছে কী?’’

প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী এদিন প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও। বলেছেন, ‘‘লক্ষ্মণ শেঠরা হার্মাদ হলেও বুদ্ধবাবু কিন্তু সৎ মানুষ। আমি বামেদের অনেক কাজের সমালোচনা করলেও ওরা কিন্তু বাংলার জন্য ভালো কাজও অনেক করেছে৷ আর তৃণমূল সরকার তো বাংলা থেকে শিল্প তুলেই দিয়েছে৷ গত সাড়ে ন’বছরে কোনও নতুন শিল্প হয়নি৷ এখন মাননীয়া বলছেন, বাইপাসের ধারে আইটিসি সোনার বাংলা করেছি৷ আরে সেই জায়গাগুলিও তো বামেদেরই দেওয়া৷ রাজারহাট-নিউটাউনের সব জায়গা বামফ্রন্টের দেওয়া‌৷ তৃণমূল সেই জায়গা বেচে খেয়েছে আর বিদেশে পাঠিয়েছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 5 =