প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই খোলা হয়েছিল ঝুলন্ত সেতু! গুজরাত-বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০

প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই খোলা হয়েছিল ঝুলন্ত সেতু! গুজরাত-বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০

গান্ধীনগর:  গুজরাতের মাচ্চু নদীতে সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা একশো ছাপিয়ে গেল৷ সোমবার সকালে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ায় ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে গুজরাট সরকার। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ 

আরও পড়ুন- গায়ের রং কালো করে দারিদ্র্যতার ভান, সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

অভিযোগ, প্রশাসনের ছাড়পত্র ছাড়াই জনসাধারণের জন্য এই সেতু চালু করে দেওয়া হয়েছিল। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসাবে তাই কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।

গুজরাতের মোরবিতে নদীর উপর থাকা এই  ঝুলন্ত সেতুটিতে সাত মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছিল৷ সংস্কারের পর দিন কয়েক আগেই তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। নতুন করে সেতু উদ্বোধন হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এই বিপর্যয় ঘটল। রবিবার সন্ধ্যায় সঙ্কীর্ণ ওই সেতুটিতে প্রায় ৫০০ জন উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সেতুর উপর রীতিমতো লাফালাফি করছেন অনেকে। এর পরেই নদীর জলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি৷ 

এই ঘটনার পরেই উদ্ধার কাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাতে সামিল হয়েছে ভারতীয় সেনাও। হাত লাগিয়েছেন সাধারণ মানুষও৷ অকুস্থলে পৌঁছন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। সোমবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন৷ নদীর জলে খোঁজাখুঁজি চলছে। এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’ গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছন বলেও জানান তিনি৷ 

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে গুজরাত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷