কলকাতা: রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে একত্রিত হয়েছিল বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক বিরোধী মহাজোট গঠনের লক্ষ্যে গতকাল ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছিল ব্রিগেড প্রান্তর। কিন্তু বামেদের এই ব্রিগেডকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না ঘাসফুল নেতা ব্রাত্য বসু।
পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বড় বামপন্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাল ব্রিগেডকে কটাক্ষ করতে গিয়ে এদিন এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রখ্যাত এই নাট্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর মতে বর্তমানে বামপন্থীদের মেহনতি মানুষের পাশে থাকার আদর্শ তা রয়েছে কেবল মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেই। এদিন ছাতনায় এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বলেছেন ব্রাত্য বসু। বলা বাহুল্য, তাঁর এই মন্তব্যের পর বেশ শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
বামেদের ব্রিগেড প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুকে এদিন প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। রাজ্যে মহাজোটের শক্তি কতটা বা আগামী নির্বাচনে তারা কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয় মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “বামপন্থার যা ঐতিহ্য, অর্থাৎ এক চেটিয়া পুঁজির বিরোধীতা এবং মেহনতি মানুষের পাশে থাকা, তা যদি সত্যি সত্যিই বামপন্থীদের আদর্শ হয়, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বামপন্থী। বামপন্থা তাঁর সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে।” এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আদর্শ নিয়ে নিয়েছেন বলে বর্তমানে বামপন্থীরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু।
ভোটের আগে বাঁকুড়ায় শাসকদলের অবস্থান নিয়েও এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ঘাসফুল নেতা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখানে যা কাজ হয়েছে তাতে বাঁকুড়ায় আমরা ভালো অবস্থানেই আছি। আমলাতন্ত্র রাজনীতিতন্ত্র ছাপিয়ে মানুষের কাজ হয়েছে এখানে।” উল্লেখ্য বাঁকুড়ায় গিয়ে এদিন বাসুলী মন্দিরে পুজো দেন ব্রাত্য বসু।