bratya basu
কলকাতা: ১৫ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। এখনও ধর্নায় অনড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি (ইসি)-র কয়েক জন সদস্য। অরবিন্দ ভবনের সামনে বসে রয়েছেন তাঁরা। দেশের অন্যতম প্রিস্টিজিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, অধ্যাপকদের ‘তুইতোকারি’ করে কথা বলা বা গালিগালাজ করাটা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে। সেই কর্মশালা শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, ‘‘যাদবপুরে কী ঘটছে, ভাসা-ভাসা শুনেছি। কিছু বলব না। কারণ নতুন সার্চ কমিটি হবে।’’ এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য-সহ কর্মসমিতির সদস্যদের ধর্না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমে দেখলাম, ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার বা পাঁচ অক্ষরে কথা বলা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না। এটা সঠিক রাস্তা নয়।’’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমরাও আন্দোলন করেছি। কোনও অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার অক্ষরে পাঁচ অক্ষরে সম্বোধন করা ভদ্রোজনচিত কাজ নয়৷ এটা অনভিপ্রেত। এটা ঠিক যে সব শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা যায় না, আবার সব ছাত্রকে স্নেহও করা যায় না।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইসির যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি। ওই বৈঠকের পর আবার কবে ইসির বৈঠক ডাকা হবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। এর পর হঠাৎ করেই বুধবার বৈঠক ডাকা হয়। মনে করা হচ্ছে, আচমকা বৈঠক ডাকায় ক্ষেপে যান পড়ুয়ারা। বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান, আন্দোলন শুরু করে দেন ছাত্ররা। যার জেরেই ধর্নায় বসেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য।