কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এখন অন্যতম চর্চিত নাম বনি সেনগুপ্ত৷ এতদিন বনিকে যাঁরা সেভাবে চিনতেন না, তাঁদের কাছেও এখন পরিচিত মুখ টলিপাড়ার এই অভিনেতা৷ তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্কের নথিতে বনির নাম খুঁজে পান ইডি-র আধিকারিকরা৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল বনির অ্যাকাউন্টে৷ সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷
আরও পড়ুন- বুথ সংখ্যা চূড়ান্ত, পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা করতে শুধু ‘সবুজ সঙ্কেত’ চায় কমিশন
গত ১৩ মার্চ বনিকে ডেকে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি৷ পর দিন ফের তলব করা হয়৷ প্রথম দিন বনি যা যা বলেছিলেন, তার তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসতে বলা হয় দ্বিতীয় দিন৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি ইডিকে জানান, একটি ছবির জন্যই কুন্তল তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। এই ৪০ লক্ষ টাকা ছিল তাঁর পারিশ্রমিক৷ কিন্তু বনি সেনগুপ্ত একটি ছবির জন্য এত টাকা নেন? সঙ্গে সেই প্রশ্নও উঠেছে।
মঙ্গলবার ইডির দফতর থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিনেতা। সেই সময়ই তিনি বলেন, ‘‘আমি ইন্ডাস্ট্রির লিডিং হিরো। এতগুলো বছর পরিশ্রম করে এই পারিশ্রমিক অর্জন করেছি। তাই সেটা নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না।’’ তাঁর এই মন্তব্য সমাজ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। ওঠে হাসির রোল৷ শুরু হয় ব্যঙ্গ বিদ্রুপ।
নেটপাড়ায় এখন একটাই প্রশ্ন, বনির কটা ছবি বক্স অফিসে হিট করেছে? ২০১৪ সালে শুরু হয় বনির কেরিয়ার৷ এই কটা বছরে বনির ছবি হাতে গোনা৷ তিনি এমন কীই বা করেছেন যে এমন বিলাসবহুল জীবন কাটান? ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে তাঁকে নিয়ে যতই বিদ্রুপ হোক না কেন, বনি মোটেও দমেননি৷ পাল্টা একটি রিল পোস্ট করে অভিনেতা বলেন, ‘সহজভাবে নাও’৷ যদিও নেটিজেনরা যে তাঁর মন্তব্য সহজ ভাবে নেননি, তা কমেন্ট বক্স দেখলেই বোঝা যায়৷ বিদ্রুপ করে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘‘প্রথম সারির অভিনেতা বলে কথা’’৷ অপর এক নেটিজেনের বক্তব্য, ‘‘শিক্ষা দুর্নীতির টাকা দিয়ে বিলাসিতা সবাই করতে পারে। দয়া করে একটু খেটে খাও ভাই।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>