ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র ভাঙড়। অশান্তি রুখতে রাজ্যের প্রতিটি মনোনয়ন কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে রয়েছে পুলিশি পাহারা৷ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল বিডিও অফিস৷ এর এক কিলোমিটারের মধ্যে বিজয়গঞ্জ বাজারে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ল। স্থানীয় সূত্রে দাবি, শতাধিক বোমা ও ৭ রাউন্ড গুলি চলানো হয়েছে। এদিকে আজই ভাঙড়ে রয়েছে তৃণমূলের নবজোয়ার। এলাকায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়৷
অভিযোগ, এদিন পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার বোমা নিক্ষেপ করা হয়৷ সেই সঙ্গে চলে ইটবৃষ্টি৷ বোমাবাজির মুখে পিছু হঠে পুলিশ। জখম হন কাশীপুর থানার এক এসআই। বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে এক আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ৷ আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়৷ তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন আটক হয়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, বোমাবাজির খবর দিতে এসেছিলেন তিনি৷ সেই সময় তাঁকে আটক করা হয়। তবে পুলিশের দাবি, বোমা বাঁধার সময় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷ ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির দাবি, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>