bollywood
নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বলিউডে কি আবার সিনেমা তৈরি হবে? যেমনটা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। উল্লেখ্য কোটি কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা এক কংগ্রেস সাংসদের। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর রাঁচির বাড়ি এবং ওড়িশায় থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গত বুধবার থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে আয়কর দফতর। শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর। ১৯৮১ সালে উত্তরপ্রদেশের অত্যন্ত প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা সর্দার ইন্দর সিংয়ের বাড়িতে আয়কর দফতর ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে ৯২ লক্ষ নগদ টাকা, ৩০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও ৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট উদ্ধার করেছিল। বিয়াল্লিশ বছর আগে এই বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছিল ওই কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে। যার এখন বাজার মূল্য কয়েকশো কোটি টাকা। পরিস্থিতি সমাল দিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেই কংগ্রেস নেতা। কিন্তু ইন্দিরা তাঁর পাশে দাঁড়াননি। চার দশক আগে সেই বিপুল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনা নিয়ে বলিউডে ‘রেড’ নামে একটি ছবিও নির্মিত হয় কয়েক বছর আগে। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বলিউড স্টার অজয় দেবগণ। সেই ছবি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়।
তবে এবার কংগ্রেস নেতা ধীরাজের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে যে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শনিবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ছবি টুইট করেছেন, যেখানে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ধীরাজ সাহু’কে দেখা যাচ্ছে। এরপরই দ্রুত আসরে নামে বিজেপি। এমনকী বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) শনিবার মোদি লিখেছেন,”দেশবাসী সব দেখতে পাচ্ছে। ওদের (কংগ্রেস) নেতারা নাকি সততার কথা বলেন! মানুষের থেকে যে প্রতিটি পয়সা লুট করা হয়েছে তা দেশবাসীকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এটাই মোদির গ্যারান্টি”। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, এবারেও কী টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বলিউডে ছবি নির্মিত হবে? কারণ ছবি তৈরির জন্য যে সমস্ত উপাদান দরকার তার সবকিছুই মজুত রয়েছে এখানে। তবে সেটা তো পরের কথা। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ধীরাজের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার হল, তা নিয়ে এখন দেশজুড়ে চর্চা চলছে। এমন কালো টাকা আর কত আছে দেশে? এই প্রশ্ন তুলছে আমজনতা। সূত্রের খবর টাকা গোনার কাজ এখনও চলছে। শেষ পর্যন্ত সমস্ত টাকা গোনার পর অঙ্কটা কোথায় গিয়ে পৌঁছয় এখন সেটাই দেখার।