স্তন ক্যানসারের মোক্ষম ওষুধ রক্তচন্দন গাছের বীজ, গবেষণায় সাফল্য মিলল

স্তন ক্যানসারের মোক্ষম ওষুধ রক্তচন্দনের বীজ। বিশেষ প্রজাতির ইঁদুরের ওপর এই পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন মগধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির স্নাতকোত্তর পাশ পড়ুয়া বিবেক আখৌরি। তিনি জানিয়েছেন, রক্তচন্দন গাছের বীজ দিয়ে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা করা যায়। মগধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজিতে গবেষণা করা এই ছাত্র অনেকদিন ধরেই স্তন ক্যানসারের চিকিৎসার জন্যে রক্তচন্দন গাছের বীজ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

 

বিহার: স্তন ক্যানসারের মোক্ষম ওষুধ রক্তচন্দনের বীজ। বিশেষ প্রজাতির ইঁদুরের ওপর এই পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন মগধ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির স্নাতকোত্তর পাশ পড়ুয়া বিবেক আখৌরি। তিনি জানিয়েছেন, রক্তচন্দন গাছের বীজ দিয়ে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা করা যায়। মগধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজিতে গবেষণা করা এই ছাত্র অনেকদিন ধরেই স্তন ক্যানসারের চিকিৎসার জন্যে রক্তচন্দন গাছের বীজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর সাফল্য ও গবেষণা পদ্ধতি আগস্ট মাসে আমেরিকার বিজ্ঞান, ওষুধ, কলা ও অন্যান্য জ্ঞানচর্চা বিষয়ক জার্নালে প্রকাশ করেছে ‘সেজ পাবলিশিং’ সংস্থা।

আগেও রক্তচন্দন গাছের বীজ নিয়ে ক্যানসার চিকিৎসার পরীক্ষা হয়েছিল। তবে সেটি শুধুমাত্র পরীক্ষাগারে করা হয়েছিল। এই প্রথম গবেষক বিবেক আখৌরি এটা কোনও প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করেছেন এবং সফল হয়েছে। পরীক্ষালব্ধ ফলাফল থেকে বিবেক আখৌরি জানিয়েছেন, ‘ইঁদুরের দেহে ক্যানসার কোষ প্রবেশ করানোর পরে যে টিউমার তৈরি হয়েছিল, ৫ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন একবার করে রক্তচন্দন গাছের বীজ খাওয়ানোর পরে টিউমারের আকার ৪৯.৫ শতাংশ হ্রাস পেতে দেখা গিয়েছে।' তিনি আরও জানান, ওই বীজ বক্সার জেলার সিমরি গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং যে ইঁদুর গুলিকে ওই বীজ খাওয়ানো হয়নি সেগুলি ৫ সপ্তাহ পর থেকে মরতে শুরু করে।

পাশাপাশি তিনি জানান, চিকিৎসায় রক্তচন্দন বীজের সঠিক ক্ষমতা, প্রয়োজনীয়তা, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, এসব নিয়ে আরও গবেষণা করার প্রয়োজন আছে, তাই ৫ সপ্তাহ পর ইঁদুরগুলিকে তিনি বীজ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি এরপর জানান, এর পরের পর্যায়ের পরীক্ষা গবেষণা ও ফার্মাকোলজির বিষয় যা ক্লিনিকাল-পূর্ব ও ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মাধ্যমে ওষুধ উৎপাদক সংস্থা করে থাকে। অন্যদিকে, ক্যানসারজনিত টিউমারের আকার ছোট করতে তামিলনাড়ু, শ্রীলঙ্কা ও ব্যাংককে সহজলভ্য ‘বেল’ ফলের গুরুত্ব অনুধাবন করতেও গবেষণা করছেন আখৌরি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে চিনের অধ্যাপক লি ও তাঁর সহ-গবেষকরা এই রক্তচন্দন গাছের গুঁড়ির অংশ ব্যবহার করে ক্যানসার চিকিৎসার পরীক্ষা করেছিলেন, যা সফলও হয়েছিল। ওই গবেষণায় জানা গিয়েছিল রক্তচন্দন গাছের কেন্দ্রীয় অংশ এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মূলত লিভার, স্তন ও মহিলাদের যৌনাঙ্গের ক্যানসার কোষের আকার ছোট করতে সহায়ক হয়। তবে কৃত্রিম পরীক্ষার সঙ্গে চার্লস ফস্টার প্রজাতির ইঁদুরের উপরে করা তাঁদের পরীক্ষার কোনও তুলনাই চলে না বলে দাবি করেছেন নারায়ণ কলেজের বোটানি বিভাগের অধ্যাপিকা মনোরমা কুমারী। এইমস দিল্লির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর অশোক শর্মা জানিয়েছেন, বিবেক আখৌরির এই সাফল্য ক্যানসার চিকিৎসায় আয়ুর্বেদের ভূমিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + five =