কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আর আড়াই মাসও বাকি নেই। ভোটের আগে সর্বশক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনের সাফল্য রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের মনোবল বাড়িয়েছে। কিন্তু জিতলে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে কে হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? এ নিয়ে দানা বেঁধেছে জল্পনা।
কিছুদিন আগেই বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। এবার সে বিষয়ে আপডেট দিলেন বিজেপির ন্যাশানাল জেনারেল সেক্রেটারি কৈলাস বিজয়বর্গীও। স্পষ্টই জানালেন পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগেই বিজেপি কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার কথা ভাবছে না। আপাতত নির্দিষ্ট কোনো মুখ ছাড়াই এগোতে চাইছে তারা।
এদিন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর কথা কেউ জিজ্ঞাসা করছে না। বেশিরভাগ রাজ্য যেখানে বিজেপি সরকার নেই, আমরা কোনোরকম নির্দিষ্ট মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছাড়াই নির্বাচনে লড়াই করি।” এ প্রসঙ্গে হরিয়ানা, আসাম এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের দৃষ্টান্তও দেন তিনি।
রাজ্যে সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের যে হিরিক দেখা যাচ্ছে, এদিন তা নিয়েও মুখ খোলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর কথায়, “অনেকেই আছেন যাঁরা মমতা জির সঙ্গে কাজ করে খুশি নন। তাঁরা আমাদের দলে আসছে চেয়েছেন।” কিন্তু গোরু পাচার, আর্থিক তছরূপ, অথবা দেশদ্রোহিতার সঙ্গে যুক্ত থাকা কোনো নেতাকেই গেরুয়া শিবিরে জায়গা দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত নেতাদের দলে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাংলায় জিতলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন দিলীপ ঘোষই তাঁর মতে এ ব্যাপারে আদর্শ। কিন্তু গেরুয়া সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে মুখ খোলার কারণে দলের অভ্যন্তরে ভর্ৎসনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। মূলত ভোটে সাফল্য আসার পরেই যে গেরুয়া শিবির মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানাতে চলেছে, তা স্পষ্ট।