নির্বাচনী ইস্তেহারে শিক্ষায় বড় প্রতিশ্রুতি বিজেপির, নজরে সরকারি কর্মচারীরাও!

নির্বাচনী ইস্তেহারে শিক্ষায় বড় প্রতিশ্রুতি বিজেপির, নজরে সরকারি কর্মচারীরাও!

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ার জন্য জোর তৎপর ভারতীয় জনতা পার্টি। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হল বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার। যদিও ইশতেহার না বলে গেরুয়া শিবির এই ঘোষণাপত্রকে ‘সোনার বাংলা সংকল্পপত্র’ হিসেবে উল্লেখ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ। গত এক বছর ধরে গোটা রাজ্য জুড়ে সমীক্ষার পর সমীক্ষা করে এই ইশতেহার গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ইশতেহারে একইসঙ্গে মহিলা, সংখ্যালঘু, তরুণ প্রজন্ম ও‌ সরকারি কর্মচারীদের মন জয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।

ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ফান্ড তৈরি করার কথা জানিয়েছে বিজেপি। এই ফান্ড প্রতিটি স্কুলে উন্নত খেলার মাঠ, শৌচালয়, স্বচ্ছ পানীয় জল, উন্নত ক্লাসরুম, বিদ্যুৎ পরিষেবা, কম্পিউটার এবং অত্যাধুনিক প্রয়োগশালা তৈরিতে কাজে লাগবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতে, যে কাজ বাংলায় গত ১০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ২০২৫ সালের মধ্যে নার্সিং স্কুল, মেডিকেল কলেজ ও পোস্ট গ্রাজুয়েশনের আসন সংখ্যা দ্বিগুণ করার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রাজ্যে আইআইটি ও আইআইএম-সহ পাঁচটি বহু বিষয়ে শিক্ষা প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এছাড়াও বাংলায় সরকার গড়লে সংখ্যালঘু, দরিদ্র ও ভূমিহীন কৃষকদের সন্তানদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করবে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, “তপশিলি জাতি-উপজাতি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান দেবে সরকার‌। ক্লাস সিক্সে উঠলে দেওয়া হবে ৩ হাজার টাকা, ক্লাস নাইনে উঠলে দেওয়া হবে ৬ হাজার টাকা। আবার এগারো ক্লাসে উঠলে মেয়েরা পাবে ৭ হাজার টাকা, বারো ক্লাসে উঠলে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকার অনুদান।”

বাংলা দখলের লড়াইয়ে জিততে গেলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদেরও যে বিশেষ নজর দিতে হবে তা বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। তাই সরকারি কর্মচারী ও সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপি সরকারের এলেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে সদস্যকে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে একটা বড় দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে চলছে বাংলায়। এই দুর্নীতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের জন্য একটিমাত্র সাধারন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে পাশ করলেই মিলবে চাকরি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *