কোতলপুর: ভোটের কাউন্ডডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দিন যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে উত্তাপ৷ এদিন কোতলপুরের জনসভা থেকে ফের আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি’র ইস্তেহারে দেওয়া চাকরির প্রতিশ্রুতি ভাওতা বলে তোপ দাগলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- গদ্দাররা বিজেপির ওস্তাদ, কী অত্যাচার করত মনে রাখবেন: মমতা
মমতা বলেন, ‘‘চাকরি দেবে বিজেপি? ছাই দেবে৷ ওঁরা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে মেয়েদের৷ আমরা মেয়েদের পঞ্চায়েতে, পুরসভায় ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি৷ একমাত্র আমাদের দলে লোকসভায় ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ আছে৷ মা বোনেদের আমি এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দেব, তাঁরা কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে বিশ্বশ্রী, যশশ্রী, তেজশ্রী, বঙ্গ জননা, বঙ্গ তনয়া, মা সব পাবে৷’’
তাঁর আর্জি, যাঁরা বাংলার বাইরে কাজ করছেন, তাঁদেরও ভোটের আগে ডেকে নিয়ে আসুন৷ তিনি বলেন, তাঁদের বঙ্গে এসে ভোটটা দিতে বলবেন৷ না হলে বিজেপি কবে এনপিআর-এনআরসি দেখাবে বুঝতে পারবেন না৷ অসমে যেমন ১৪ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে, তেমনই তাঁদের নামগুলোও বাদ দিয়ে দেবে৷
তাঁর হুঙ্কার, উদ্বাস্তু কলোনির সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে৷ ওঁদের আর কিছু করতে হবে না৷ ওঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুকলি করে৷ কিন্তু টুকলি করেও লাভ হবে না৷ তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন’ শব্দটাও আমারই কথা৷ আর পরিবর্তন বাংলার হবে না, পরিবর্তন হবে দিল্লিতে৷ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের হঠাতে হবে৷ আজকে সমস্ত কিছু লুঠ করা হচ্ছে৷ সব বিক্রি করে দিচ্ছে৷ কৃষকদের লুঠ করা হচ্ছে৷ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিচ্ছে৷ রেল, সেল সব বিক্রি করে দিচ্ছে৷ কৃষকদের জমি কেড়ে নিচ্ছে৷ শস্য কেড়ে নিচ্ছি৷ এর বিরুদ্ধে কৃষকরা দিল্লিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু কৃষকদের কথা শোনার ইচ্ছা কেন্দ্রের নেই৷
আরও পড়ুন- আপনাদের ব্যাঙ্কের জমানো টাকাও খেয়ে নেবে বিজেপি, তোপ মমতার
তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, বহিরাগত গুণ্ডা নিয়ে এসেছে বাংলায়৷ বাংলা শিখে বাংলায় ভোট চাইছে৷ কেউ কেউ আবার বলছে, মারাংগুরুকে নয়, আমার পুজো করো৷ কেউ আবার বলছে, বাবাসাহেব আম্বেদকর, রবীন্দ্রনাথ নয়, নরেন্দ্র মোদী বড়৷ গত সাত বছরে বাংলাকে একটা নতুন ট্রেনও দেয়নি৷ সবটাই আমি করে গিয়েছি৷ রূপসী বাংলা, আরণ্যক, আমি করে দিয়েছি৷ দীঘা-তমলুক, বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি-তারকেশ্বর আমি করে দিয়েছি৷