কলকাতা: বনগাঁ-হাবড়া-ঠাকুরনগর – মতুয়াদের খোঁজে ছোট সমস্ত রাজনৈতিক দল। যদিও মতুয়াদের অবস্থান শুধু এই তিনটি জায়গায় সীমাবদ্ধ নয়। সারা দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একদা এই উদ্বাস্তুরা। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের কয়েক লক্ষের ভোট ব্যাংক মনে করে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মতুয়াদের বৃহৎ অংশের সমর্থন কতটা জরুরি তা জানে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রতিযোগিতা চলছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। মতুয়া দের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরনগরে পরপর রাজনৈতিক সভা সূচিত হবে।
মাতুয়ারাও বছরের পর বছর ধরে রাজ্যের রাজনীতির অংশ ছিল। বর্তমানে মতুয়া সমাজের বৃহদাংশ – বিজেপি শিবির এবং তৃণমূল শিবিরে বিভক্ত। নাগরিকত্বের প্রশ্ন এই নির্বাচনে ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ শে জানুয়ারী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরনগর মন্দির কমপ্লেক্সে মতুয়া মহাসংঘ আয়োজিত মতুয়াদের একটি জমায়েতে ভাষণ দেবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কবে চালু হবে – বিষয়টি নিয়ে উত্তর চাইবে মতুয়া জনতা। যদি শাহ কোনও সদর্থক কথা শোনাতে না পারেন তবে কী হবে? মতুয়ারা কী বিজেপি বিমুখ হতে পারে? অনেকে মনে করছেন এমন সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।
মতুয়ারা পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় ২ কোটি বা ২০ শতাংশ এবং উত্তর ২৪ পরগনা, নাদিয়া, হাওড়া এবং দিনাজপুর (উত্তর ও দক্ষিণ) পাঁচটি জেলা জুড়ে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং হাওড়ার কয়েকটি অংশের কমপক্ষে ৩০ টি বিধানসভা এলাকা মতুয়ারা মোট জনসংখ্যার ৪০-৫০ শতাংশেরও বেশি। দক্ষিণবঙ্গ, ১৫১ টি আসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটি। সবুজ দুর্গ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে। অধিকাংশই তৃণমূলের দখলে। কিন্তু, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। লোকসভা ভোটে সিএএ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির কাছে সমস্ত ১২ বিধানসভা কেন্দ্রে হেরেছিলেন। এর মধ্যে চারটি – বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ এবং গাইঘাটা – ৮০ শতাংশ মতুয়া জনসংখ্যা নিয়ে তফসিলি আসন। নদীয়াতে ১৭টি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল ৬টি তে এগিয়ে ছিল। বাকিগুলিতে বিজেপি। ১৭টি আসনের মধ্যে ৫টি তফসিলি আসন। মতুয়া সমাজ অমিত শাহ’র থেকে কিছু শুনতে চাইছে।