আপনাদের ব্যাঙ্কের জমানো টাকাও খেয়ে নেবে বিজেপি, তোপ মমতার

আপনাদের ব্যাঙ্কের জমানো টাকাও খেয়ে নেবে বিজেপি, তোপ মমতার

কোতলপুর:  কোতলপুরের জনসভা থেকে ফের আত্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু বিজেপি নয়, সিপিএমকেও তুলোধোনা করলেন তিনি৷ তোপ দেগে বললেন, সিপিএম-এর হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে৷ সেই সঙ্গে জুটেছে আমাদের গদ্দাররা৷ 

আরও পড়ুন-  দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির বদলে মিলেছে বঞ্চনা, নরক যন্ত্রণায় ভুগছে নাহাটা

এদিন মমতা বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এক সময় বিক্রমপুরে অসম্ভব অত্যাচার চালাত৷ আমাকে জয়পুর, বিক্রমপুর গ্রামে ঢুকতে দিতে চায়নি পুলিশ৷ এক পা এক পা করে ঢুকেছিলাম৷ চমকাইলতলায় আমাদের বাসে গুলি চালিয়েছিল৷ সেই সিপিএম-কে আর ভোট নয়৷ তিনি আরও বলেন, এটা বাংলার নির্বাচন৷ দিল্লির নয়৷ বিজেপি বলেছিল সকলের  ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে৷ কিন্তু সেই টাকা কেউ পায়নি৷ তাহলে ওদের ভোট দেবেন কেন? নির্বাচনের আগে ওরা চাল, ডাল, চাকরি দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়৷ নির্বাচন হয়ে গেলে পালিয়ে যায়৷ বাংলায় বহিরাগত গুণ্ডাদের পাঠিয়ে জঙ্গলমহল দখল করতে চাইছে৷ এখানে একসময় মাওবাদী আর সিপিএমের অত্যাচারে প্রতিদিন রক্ত ঝরত৷ বছরে ৩০০ মানুষ খুন হত৷ আজ সেখানে শুধুই শান্তি৷  

তাঁর কথায়, আপনারা বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছেন৷ আগামী দিনেও বিনা বয়সায় বাড়িতে বসে রেশন চাইলে জোড়া ফুলে ভোট দিতে হবে৷ খাদ্যসাথী প্রকল্পে দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে৷ বাড়ির মেয়েদের ৫০০ টাকা করে হাতখরচ দেওয়া হবে৷ ৬০ বছর বয়স হলেই আদিবাসী মহিলারা ১ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন৷ সব বয়সের বিধবাদের ভাতা দেওয়া হবে৷ 

আরও পড়ুন-  ভোটের মুখে প্রতিশ্রুতির বন্যা! নীল বাড়ির লড়াইয়ে মূল ফ্যাক্টর সেই কর্মসংস্থান

অথচ কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বিরুদ্ধে কালো আইন করেছে৷ কৃষকরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে৷ আলু, পটল, চাল, তেল, ডাল আর জরুরি পণ্যের মধ্যে নেই৷ গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া৷ কেরসিন দেওয়া হচ্ছে না৷ আমাদের দাবি, বিনা পয়সায় মানুষকে গ্যাস দিতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে৷ পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে৷ সব বিক্রি করে দিচ্ছে৷ একদিন আপানার ব্যাঙ্কের জামানো টাকাও খেয়ে নেবে বিজেপি৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 9 =