এবার বিদেশি মিডিয়ার ওপর চটে লাল বিজেপি, অ্যামাজন-কর্তাকে নয়া পরামর্শ

এবার বিদেশি মিডিয়ার ওপর চটে লাল বিজেপি, অ্যামাজন-কর্তাকে নয়া পরামর্শ

নয়াদিল্লি: জেফ বেজোসের মালিকাধীন ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয়ের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা মোদি সরকারের৷ যদিও বেজোস জানিয়েছিলেন, তাঁরই বাণিজ্য সংস্থা অ্যামাজন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করছে৷

ভারতীয় জনতা পার্টির বিদেশ দপ্তরের প্রধান বিজয় চৌথিওলা জানিয়েছেন, সংবাদপত্রটি ভারত সম্পর্কে যা লিখেছে, তাতে অনেক অসুবিধা আছে। তারা কোনও উদাহরণ না দিয়েই, কোনও প্রমাণ না দিয়েই ভারত সম্পর্কে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করেছে। বেজস ভারত সফরে এসে বলেছিলেন, এক বিংশ শতাব্দীতে ভারতের জন্য খুব ভালো সময়। শতাব্দীতে ভারতের জন্য অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।

এই প্রসঙ্গে চৌথিওয়ালা বলেছেন, আমি সংস্থা হিসেবে অ্যামাজনের বিরোধিতা করছি না। আমি অ্যামাজনের একজন নিয়মিত গ্রাহক। আমার মনে হয় জেফ বেজোসের ওয়াশিংটন পোস্টকে বলা উচিত, ভারত সম্পর্কে তাঁর ধারণা কী। ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় একদম নিরপেক্ষ নয়। একটা পক্ষকে সমর্থন করে এই মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয়। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের ভারতের সম্পাদক এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

এর আগেও চৌথিওয়ালা বিদেশি সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর বিদেশি সাংবাদিকরা এর বিরোধিতা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। তার বিরোধিতা করে চৌথিওয়ালা বিদেশি সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি সেই সময় দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু বিদেশি সাংবাদিকরা সম্পূর্ণ মোদির বিরোধিতা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যামাজনে মেল করেছিল। কিন্তু সেই মেলের উত্তর অ্যামাজনের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য মোদি বার বার প্রচার করছেন। কিন্তু বেজোস ভারত সফরের সময় বার বার মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদি প্রশাসন সেই বিষয়ে কোনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি বলে জানা গিয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বার বার অভিযোগ জানিয়েছে, ভারতে বিনিয়োগের পরিবেশ ক্রমেই কমছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যে সব আইনি জটিলতায় আটকে পড়েছেন, সেখান থেকে আগে তাদের মুক্তি দিতে হবে। তবেই বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরবে বলে মনে করছেন তাঁরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four − three =