নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী? মমতাকে দেখে এসে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছোন তথাগত রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ গেরুয়া নেতৃত্ব

কলকাতা: নির্বাচনের মুখে পায়ে চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরেই বাঁ পায়ে চোট পান তিনি। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল তুলেছে শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট ঠিক কতটা গুরুতর তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এদিন হাসপাতালে হাজির হলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে দেখে আসার পরেই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিজেপি। এদিন সেখান থেকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। কিন্তু সেই সঙ্গে কীভাবে এই চোট লাগল, তা নিয়েও তুলে দেন একাধিক প্রশ্ন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে পরিমাণ নিরাপত্তা থাকে, তা সত্ত্বেও যদি কোনোভাবে তাঁকে ‘আক্রমণ’ করা হয়, তবে সার্বিকভাবে সেই ব্যর্থতা কার? প্রশ্ন করেন শমীক ভট্টাচার্য। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছোন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়সহ অন্যান্যরা। পরে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও সেখানে গিয়ে পৌঁছোন। অভিযোগ হাসপাতালের মুখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিজেপি নেতাদের। এদিন সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিস্তারিত বিবরণ দেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিল ১২টি গাড়ি। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যখন অভিযোগ করেছেন তখন তা সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিত। কীভাবে তাঁর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কেউ অতদূর পৌঁছোতে পারল? কারা সেসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন?” এ বিষয়ে রাজ্য নিরাপত্তা বিভাগের বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য।

বস্তুত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত পেয়ে থাকেন জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। গতকাল তাঁর দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হয় রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল অভিযোগ করেছিলেন চার পাঁচ জন হঠাৎ তাঁর গাড়ির দরজায় ধাক্কা মারায় তিনি পায়ে চোট পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + five =