‘নেতাজিকে খুন করিয়েছে কংগ্রেস’, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের

‘নেতাজিকে খুন করিয়েছে কংগ্রেস’, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের

নয়াদিল্লি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতায়। নেতাজি ভবন দর্শনের পর তিনি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলেও মহান দেশনেতার স্মরণে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে শুধু বাংলাতেই নয়, নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল গোটা দেশ জুড়েই একাধিক সরকারি, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থেকেছে দেশ৷ আর তেমনই এক অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতার মন্তব্যকে ঘিরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিখোঁজ হননি, কংগ্রেসই খুন করিয়েছে তাঁকে! এমনই এক গুরুতর অভিযোগ আনলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসাদ সাক্ষী মহারাজ। শুধু তাই নয়, নেতাজির মৃত্যু রহস্যের উদঘাটনের জন্য কেন তৎকালীন কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনো তদন্ত চালানো হয়নি, এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন উন্নাও লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। বলা বাহুল্য, তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

এদিন নেতাজি জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নিজের লোকসভা কেন্দ্র উন্নাওয়ে আয়োজিত এক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সাক্ষী মহারাজ। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই জাতীয় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি অভিযোগ করছি, কংগ্রেসই খুন করেছে সুভাষচন্দ্র বসুকে। জওহরলাল নেহেরু তো দূর, মহাত্মা গান্ধীও জনপ্রিয়তায় নেতাজির ধারে কাছে ছিলেন না।” ক্ষমতা পিপাসায় অন্ধ হয়েই নেতাজিকে হত্যা করে কংগ্রেস তাঁর ভুয়ো মৃত্যু রহস্যকে প্রচার করেছে, বলেন তিনি।

যদিও নিজের বক্তব্যের সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরেননি সাক্ষী মহারাজ। রাজনৈতিক বিবাদের কারণেই কেবলমাত্র সন্দেহের বশে কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু কেন রহস্য? জওহরলাল নেহেরু কেন এ ব্যাপারে কোনো তদন্ত করেন নি?” জওহরলাল নেহেরুর যোগ্যতা নেতাজির ধারে কাছেও ছিল না বলে উল্লেখ করে এদিন সাক্ষী মহারাজ প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

বস্তুত, সরকারি বিভিন্ন নথি অনুযায়ী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু  ১৯৪৫ সালে জাপানের এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। কিন্তু এই তথ্য নিয়ে রয়েছে একাধিক সংশয়। দীর্ঘদিন ধরেই এ বিষয়ে চলেছে একাধিক তদন্ত। কিন্তু আজও এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *