bjp
কলকাতা: রাজনীতির কারবারি হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও মানদণ্ড থাকে না৷ জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষেত্রেও তাই৷ ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও কেউ বিধায়ক বা মন্ত্রী হতে পারেন। অনেক সময় বিরোধীরা নির্বাচিত প্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণকে রাজনীতির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে বিধায়ক হওয়ার পরেও নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করার ইচ্ছা বা প্রয়াস, খুব একটা চোখে পড়ে না। তবে সবক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম থাকে৷ তেমনই এক ব্যতিক্রম হলেন বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক৷ পড়াশোনার ইচ্ছা তাঁকে টেনে নিয়ে গেলে শিক্ষাঙ্গনে৷ রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার।
পরীক্ষা দিয়ে বেশ খুশি বিধায়ক। জানালেন, পরীক্ষা ভালই হয়েছে তাঁর। তবে একসঙ্গে সব কটি বিষয়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন না তিনি৷ ২০২২ সালে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছিলেন স্বপন৷ চলতি বছরে ২টি বিষয়ে পরীক্ষা দেবেন তিনি। বুধবার বনগাঁর কালীতলা বিশ্ববন্ধু শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলে গিয়ে এডুকেশন বিষয়ের পরীক্ষা দিলেন স্বপন।
তাঁর কথায়, “আমি বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই৷ কাটমানির শিক্ষা বা তোলাবাজির শিক্ষায় নয়। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যুর কারণে খুব বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি৷ তবে ক্লাসে প্রথম হতাম৷ আগামী দিনে উচ্চশিক্ষিত হচে চাই৷ সেই স্বপ্নপূরণ করতেই পরীক্ষা দিচ্ছি৷ পড়াশোনার কোনও বয়স হয় না৷ মাধ্যমিক আগেই দিয়েছি। এবার উচ্চমাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিচ্ছি৷”
বিধায়ক পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে কথা৷ তাই পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে এসে হাজির হন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা৷ বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই স্বপন মজুমদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল শাসকদল। নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল৷ কলকাতা হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন শাসকদলের নেতাদের। তাই হয়তো শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট পেতে এতটা মরিয়া বিধায়ক৷