কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে ৭৪টি সবুজ আসনে গেরুয়া রং করতে বদ্ধ পরিকর অমিত শাহ। কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই ৭৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬টি আসনে ‘লিড’ পেয়েছিল বিজেপি। ঘাসফুলের এই সবুজ গড়ে জোর ধাক্কা দিতে চায় বিজেপি। ইতিমধ্যে এলাকার দুই আঞ্চলিক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে দলে টেনে নিয়ে নিয়েছে বিজেপি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১টি আসনে লিড করেছিল তৃণমূল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠটা আছে যে সিট গুলিতে, সেখানে এক রকম স্ট্রাটেজি এবং যেখানে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্টতা আছে – সেখানের অন্য রকম স্ট্রাটেজি নিয়েছে বিজেপি। আবার হিন্দিভাষী সিট গুলি যেমন – কলকাতার জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, শ্যামপুকুর বা হাওড়ার হাওড়া উত্তরে বিশেষ স্ট্রাটেজি নেওয়া হচ্ছে। এই সিটগুলিতে আমফন দুর্নীতি, চাল চুরি, ত্রিপল চুরি এবং করোনায় বেহাল অবস্থা ইস্যু করে এগিয়েছে তৃণমূল।
নদীয়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগণা তে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। মোট ৯৩টি আসন। ৪২টি সিটে এগিয়ে বিজেপি। এই জায়গাগুলিতে মতুয়া ভোট ফ্যাক্টর হয়ে যায়। বিগত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা বিজেপির সঙ্গেই ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে মতুয়া তীর্থ ওড়াকান্দিতে গিয়েছেন। মতুয়ারা জানেন সিএএ চালু করে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপি ১২১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সেই কারণেই বেশ কিছু এলাকা থেকে নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাহাড়ে ২৭টি সিটের মধ্যে ২২টি সিটে টার্গেট করা হয়েছে। সমতলে ৬০টি এলাকায় বেশি কিছু মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা রয়েছে। সেখানে ২২টি আসন টার্গেট করেছে বিজেপি। জঙ্গলমহলে ৪০টির মধ্যে ৩২টি সিতে বিজেপি জেতার চেষ্টা করছে। তৃনমূলের শক্ত ঘাঁটি বা গড় বলতে ৭২টি সিট রয়েছে। সেখানে ৩০টি সিটের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। বিজেপি যে ৯৩টি আসনে শক্তি বৃদ্ধি করেছে, সেখানে ৬৬টি সিট জেতার চেষ্টা করবে। সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক হলে ১৭২টি আসনে জেতার ব্যাপারে কোনও সংশয় রাখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।