নয়াদিল্লি: ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে কর্ণাটক বিধানসভায় পরাজয় বিজেপি’র কপালে চিন্তার বলিরেখা চওড়া করেছে৷ বিরোধীদের মতে, কর্ণাটকই বিজেপি’র শেষের শুরু৷ তবে এত সহজে জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির৷ আপাতত তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট৷ আর তার পরেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন৷ বিদেশ সফর থেকে ফিরেই ভোট নিয়ে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার রাতে নিজের বাসভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা-সহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গী দীর্ঘ বৈঠক করলেন তিনি।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক চলে৷ আলোচনার মূল বিষয় ছিল মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোট এবং লোকসভা নির্বাচন৷ যুদ্ধ জয়ের কৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কথা হয়েছে সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পেশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে৷ লোকসভা ভোটের আগে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে তৎপর কেন্দ্রের সরকার৷ এখন থেকই বেশ সক্রিয় মোদী সরকার। কেন্দ্র-নিযুক্ত আইন কমিশনের তরফে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং আমজনতার মতামতও জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ছিল বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচি৷ সেখানেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রসঙ্গ ওঠে৷ বলা হয়, ‘‘কোনও পরিবারে যদি প্রত্যেক সদস্যের জন্য আলাদা আলাদা আইন থাকে, তা হলে কি সেই সংসার চালানো সম্ভব?’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশের এক একটি সম্প্রদায়ের জন্য এক এক রকম আইন থাকল দেশও এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান আইনের কথা বলা আছে। সুপ্রিম কোর্টও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলেছে।’’