শেষ মুহূর্তে বড় গোল! শুভেন্দুর বিষয়ে চুরমার বিজেপির আত্মবিশ্বাস!

শেষ মুহূর্তে বড় গোল! শুভেন্দুর বিষয়ে চুরমার বিজেপির আত্মবিশ্বাস!

কলকাতা: শেষ মুহূর্তে গোল খেল কী বিজেপি? সুযোগ সন্ধানী সেন্টার ফরওয়ার্ড হিসাবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে তৃণমূলকে কী এগিয়ে দিতে পারলেন প্রশান্ত কিশোর? বোঝা যাবে কয়েকদিন পরেই। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপারে বিজেপির আত্মবিশ্বাস কমেছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র বক্তব্য অনুযায়ীই শুভেন্দু ‘ভাইপো’র কাছে মাথা নোয়াবেন না। দিলীপ ঘোষ বলেছেন শুভেন্দুর জন্য দরজা খোলা আছে। তবে তিনি না আসলেও দল ক্ষমতায় আসবে।

এদিকে খবর, উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর – বৈঠক হয়। সৌগত রায়ের দাবি বৈঠকে সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে। বৈঠকের পর শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী বলেছেন, মিটমাট হয়ে থাকলে পার্টির পক্ষে মঙ্গল। তবে ঠিক কী হয়েছে তা বলা সত্যি মুশকিল। শোনা যাচ্ছে শুভেন্দু ২-৩ দিনের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সব জল্পনায় জল ঢালবেন।

এদিকে রাজ্য বিজেপিকে হঠাৎই শুভেন্দুর ব্যাপারে আশাহত লাগছে। দক্ষিনবঙ্গে তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে ভাগ বসতে শুভেন্দু গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ছাড়া রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুটা দুর্বল। তৃণমূলের এই ঘুঁটি নাড়িয়ে দিতে পারলেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা দক্ষিনবঙ্গে অনেকটাই ‘কেল্লা ফতেহ’ করতে পারতেন। সেই ব্যাপারেই এখন প্রশ্ন চিহ্ন। এদিকে, শিবসেনার উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয়েছে তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। দাবি করেছে, রাজ্য শিবসেনা নেতৃত্ব। তাদের দাবি, শুভেন্দু মুম্বইতে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু, সেই বার্তালাপের নির্যাস কী তা তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। পশ্চিমবঙ্গে শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার বলেছেন, “মুম্বইতে দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী কথা বলেছেন বলে শুনেছি। কী কথা হয়েছে সেটা জানি না।”

তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সামনে দুই দিক খোলা আছে। ১) তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) – তে যোগ দিতে পারেন। ২) তিনি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করে নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন। যা পরিস্থিতি, শুভেন্দু বিধানসভা নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে নতুন দল করার কথা চিন্তা করবেন বলে মনে হয় না। সেই কাজের জন্য যে বিপুল অর্থ এবং সময় চাই – তা বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিলবে না। সেক্ষেত্রে, একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নির্বাচনে লড়াই করার বাড়তি সুবিধা রয়েছে।

তৃণমূল ছাড়েননি শুভেন্দু। তবে, মন্ত্রিত্ব সহ সরকারি পদ ছেড়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আজ রবিবার, শুভেন্দু মহিষাদলে প্রথম সভা করবেন। সভাস্থল ছোলাবাড়ি রাজবাড়ি প্রাঙ্গন। অরাজনৈতিক ব্যানারেই তিনি সভা করবেন। এদিকে, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক শিবসেনার পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার পর জল্পনা আরও তুঙ্গে। তবে, মঙ্গলবার রাতে পর আবার হাসছে তৃণমূল। রয় কৃষ্ণ’র মত গোল দিয়েছে পি কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =