মুম্বাই: বাংলাদেশ থেকে এদেশে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিজেপির অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। সিএএ এনআরসি প্রভৃতি আইনের প্রসঙ্গে এই বিরোধিতা আরো জোরালো হয়ে দেখা দেয়। এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও ভোটের আগে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কড়া বার্তা দিতে শোনা গেছে গেরুয়া নেতাদের। কিন্তু এমতাবস্থায় মুম্বাই থেকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরা পড়েছেন স্বয়ং বিজেপি নেতা।
জাল নথিপত্র দেখিয়ে এ দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বাস করছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত এক নেতা, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তারপরেই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর বিজেপি যোগ। গেরুয়া শিবিরের উত্তর মুম্বাই শাখার সংখ্যালঘু সেলের প্রধান ওই নেতা, জানা গেছে তেমনটাই।
ধৃত ব্যক্তির নাম রুবেল শেখ। তিনি পরিচয়পত্র হিসেবে যে আধার ও প্যান কার্ড ব্যবহার করছিলেন সেখানে দেওয়া ছিল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একটি ঠিকানা। কিন্তু ঠিকানাটি ভুয়ো বলেই জানিয়েছে পুলিশ। নথিপত্র ভালোভাবে যাচাই না করে কীভাবে বিজেপি এধরনের একজন অনুপ্রবেশকারীকে দলের প্রধানের দায়িত্ব দিল সে প্রশ্নই তুলেছেন অনিল দেশমুখ। গেরুয়া শিবিরকে তুলোধুনো করার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্তের আদেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে দলের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ধরা পড়ায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির তরফ থেকে সহ সভাপতি চিত্রা ওয়াগ জানিয়েছেন তাঁর দল কোনোরকম অপরাধকে প্রশ্রয় দেবে না। কিন্তু সেই সঙ্গে বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলতেও ছাড়েননি তিনি। তাঁর মতে, এনসিপি কিংবা কংগ্রেসের ক্ষেত্রেও অনুরূপ তদন্ত শুরু করা উচিত। ২০১১ সাল থেকে অভিযুক্ত রুবেল শেখ জাল নথির ভিত্তিতে মুম্বাইতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।