CAA : বাংলা এবং আসামে কেন আলাদা রণনীতি বিজেপি’র ?

CAA : বাংলা এবং আসামে কেন আলাদা রণনীতি বিজেপি’র ?

কলকাতা: আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ। দুই প্রতিবেশী রাজ্য। কিন্তু এই দুই রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি বেশ আলাদা। বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, আগামী দিনে বিজেপির রাজনীতির অভিমুখ কোন দিকে তা বুঝতে কিছুটা সাহায্য করে। আসামের শিলচরে একটি জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন বা সিএএ-র সম্পর্কে কোনও উল্লেখ করেননি। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একই রকম সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয়  সরকার সিএএ বাস্তবায়নে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শিলচর হ’ল আসামের বারাক উপত্যকার প্রধান শহর, এটি বিজেপির এক দুর্গ যেখানে এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকারী বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সিএএর পক্ষে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। উল্লেখ্য, আসাম রাজ্যেও বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। সেখানে, CAA-NRC নিয়ে কম আন্দোলন হয়নি। প্রথমবারের জন্য সারা ভারত তাতে আলোড়িত হয়েছিল। কিন্তু, শনিবার , বর্ধমানের সাংবাদিকদের নাড্ডা বলেন, “বিধি তৈরি করা হচ্ছে। আমরা সিএএ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর বাস্তবায়নের সময়সীমা অবধি মন্ত্রণালয় এর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।”

বাংলায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ বিধানসভায় সেই মেরুকরণ কি বিজেপি বা তৃণমূলকে সাহায্য দেবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু, মতুয়া সমাজ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া দের নাগরিত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই আশা কী পূর্ন হবে? উত্তর চাইছে মতুয়া জনতা। মাতুয়ারাও বছরের পর বছর ধরে রাজ্যের রাজনীতির অংশ ছিল। বর্তমানে মতুয়া সমাজের বৃহদাংশ – বিজেপি শিবির এবং তৃণমূল শিবিরে বিভক্ত। নাগরিকত্বের প্রশ্ন এই নির্বাচনে ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ শে জানুয়ারী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠাকুরনগর মন্দির কমপ্লেক্সে মতুয়া মহাসংঘ আয়োজিত মতুয়াদের একটি জমায়েতে ভাষণ দেবেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কবে চালু হবে – বিষয়টি নিয়ে উত্তর চাইবে মতুয়া জনতা। যদি শাহ কোনও সদর্থক কথা শোনাতে না পারেন তবে কী হবে? মতুয়ারা কী বিজেপি বিমুখ হতে পারে? অনেকে মনে করছেন এমন সম্ভাবনা থাকলেও থাকতে পারে।

সিএএ ধর্মকে নাগরিকত্বের মানদণ্ড হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং এটি বাংলায় একটি বড় নির্বাচনী ইস্যু, যেখানে এর অনেক সমর্থন রয়েছে বলে দেখা যায়। তবে আসামে যেখানে বাংলার পাশাপাশি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে গত বছর সিএএর বিরুদ্ধে বড় প্রতিবাদ দেখা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *