কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট চার দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এখনও ঘোষিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা। বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে তা আর চাপা নেই। বিক্ষোভ বিদ্রোহের আবহেই ভোট ময়দানে তাই সাবধানে পা ফেলছে গেরুয়া শিবির। এখনও কোন কোন আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি রেখেছে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা? আসুন একবার চোখ রাখা যাক সেদিকে।
চতুর্থ দফার ঘোষণর পরেও এ রাজ্যে এখনও ১০টি আসনে প্রার্থী নির্দিষ্ট করতে পারেনি বিজেপি। পাহাড়ের তিন আসন ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে কলকাতার একাধিক আসন। ঠিক কী কারণে প্রার্থী ঘোষণায় এই বিলম্ব করা হচ্ছে? যোগ্য মুখের অভাব নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন পাচ্ছে না গেরুয়া শিবির। তাই দার্জিলিং, কালিংম্পং এবং কার্শিয়াং প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যিক। ভেবেচিন্তে পা না ফেললে হিতে বিপরীত যে হয়ে যেতে পারে ইতিমধ্যে শিখা মিত্র কিংবা তরুণ সাহার ঘটনায় তার পরিচয় পেয়েছে রাজ্য বিজেপি। এছাড়া এখনও পর্যন্ত প্রার্থীহীন রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী। সূত্রের খবর, এখানে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে রীতিমতো জেরবার পদ্মবাগান। আরএসএস এবং বিজেপির মধ্যে ওই এলাকায় বিরোধ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখনও প্রার্থীহীন রয়েছে বনগাঁর তিন আসন গাইঘাটা, বনগাঁ উত্তর এবং বাগদা। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করতে এখানে বিজেপির প্রার্থীর দিকে নজর রয়েছে গোটা বাংলার। দিন কয়েক আগে এখানেই উঁকি দিয়েছিল স্থানীয় নেতৃত্বের গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, গাইঘাটা কেন্দ্রে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তাঁর দাদা সুব্রতকে প্রার্থী করতে চান। কিন্তু বিজেপি তাঁকেই প্রার্থী হিসেবে চাইছে। ফলে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দল। এছাড়া যে কেন্দ্রগুলি এখনও প্রার্থীহীন রয়েছে সেগুলি হল বহরমপুর, ইটাহার, করণদিঘি।