মহিষাদল: প্রথম দফা ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা দেখেছিল বাংলা। যদিও বিজেপি দাবি করেছিল বেশিরভাগ জায়গায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার মতই চিত্র ধরা পড়ছে গোটা বাংলায় সকাল থেকেই। জায়গায় জায়গায় অশান্তি এবং অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ঘটনা। এবার উত্তপ্ত হল মহিষাদল। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করছে তৃণমূল কর্মী এবং সর্মথকরা। জানানো হচ্ছে, ভোটদান আটকানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকদের খুনের হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। একইসঙ্গে অনেক তৃণমূল কর্মীদের ভোটদানে ‘বাধা’ দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকরা। তারা দাবী করছেন, বিজেপি কর্মীদের মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে! একইসঙ্গে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে, পাশাপাশি বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলছে। বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির খবর আসার পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলেও জানা গিয়েছে। তবে ভোট প্রভাবিত এবং অশান্তির বিষয়ে অভিযোগ শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নয়, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করছে বিজেপিও। দাবি করা হচ্ছে, বেশিরভাগ জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস অশান্তি সৃষ্টি করে দোষ চাপাচ্ছে বিজেপির ঘাড়ে। তবে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা হলেও আপাতত ভোটপর্ব নির্বিঘ্নে হচ্ছে বলে খবর।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের অভিযোগ, সিআরপিএফ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হয়ে গেছে। তারা বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বলছে ভোট দিতে যেতে হবে না! একই সঙ্গে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ভোট না দিতে যেতে পারেন। তাদের আরও অভিযোগ, মূলত শুভেন্দু অধিকারী কে সঙ্গে নিয়ে এসে এই ধরনের হুমকি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলে বলা হচ্ছে, যতক্ষণ তিনি আসেননি ততক্ষণ পরিস্থিতি খারাপ ছিল না। কিন্তু তিনি আসার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী অতি সক্রিয় হয়ে গেছে এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।