নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের প্রভাব রুখতে দেশের সর্বস্তরেই একের পর এক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এবার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) তরফে বিক্ষোভ, ধরনার মতো কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। বুধবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যের বিজেপি দফতরের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এর পরিবর্তে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় দল-মত নির্বিশেষে এক ছাদের নীচে আসার কথা শোনা গেছে নেটিজেনদের একাংশের মুখে। সরকারের তরফেও বিশেষ সক্রিয়তা নজরে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে জেপি নাড্ডা বলেন, 'মঙ্গলবার সংসদে দলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্ত অনুসারে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সতর্কতায় কোনও প্রকার আন্দোলন, ধরনা, বিক্ষোভ এড়ানো উচিত আমাদের।' প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়ার কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। তার পরিবর্তে জনজাগরণ কর্মসূচি গড়ার নির্দেশ কর্মী ও সমর্থকদের। আগামী একমাস প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ করবে না গেরুয়া শিবির।
জেপি নাড্ডা এদিন বলেন, 'আমরা সবাই জানি যে, করোনা ভাইরাস খুবই বিপজ্জনক। পাশাপাশি আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, এই নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। তাই আমি রাজ্যের আমাদের দফতরগুলির উদ্দেশ্যে অনুরোধ করব, ছোট ছোট দল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করুন, করোনা মোকাবিলায় কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। কীভাবে আমরা নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারব এবং একে অন্যের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখব, সেই বিষয়েও আলোচনা করুন।' এছাড়াও সার্ক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী করোনার মোকাবিলায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপরে যে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেই কথাও জানিয়েছেন তিনি। সেই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন রাজ্যের বিজেপি দফতরগুলির উদ্দেশ্যেও।
জনসচেতনতা কর্মসূচির কথাও এদিন বলেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। এই মুহূর্তে গণজাগরণের প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি। সেই কারণেই করোনা রুখতে কোনও রকম সমাবেশ করবে না গেরুয়া শিবির, বলে জানিয়েছেন সভাপতি নাড্ডা। করোনার প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে দলনির্বিশেষে এগিয়ে আসার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের কথাতেও। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।