আউসগ্রাম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় চমকের পর চমক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কখনো টলিউড তারকা কখনো বা গরিব দিনমজুর, পদ্ম প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ যাননি কেউই। উঁচু থেকে নীচু, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষমতার বন্টনের এই নজির গড়তে গিয়েই কিন্তু এবার বেজায় অস্বস্তিতে পড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি।
আউসগ্রামের বিধানসভা থেকে এবার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কলিতা মাজি। প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণার পর থেকেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। কারণ তিনি পেশায় একজন পরিচারিকা। আর পরিচারিকাকে ভোটের টিকিট দেওয়ার নজির পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব কমই আছে। কিন্তু ভোটের আগের এই গেরুয়া চমকের পিছনে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের কারসাজি যতই থাক না কেন, প্রার্থী নিজে যে পড়েছেন বিষম চাপে, তা বলাই বাহুল্য। অন্তত এদিনের সোশ্যাল মিডিয়া মনে করাছে তেমনটাই। কলিতা মাজি নিজেই আদতে জানেন না, তিনি ঠিক কোন দলের হয়ে ভোটে লড়তে চলেছেন।
ঠিক কেন এমন বলা? বস্তুত, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যাতে দেখা গেছে বিজেপির সদ্য ঘোষিত প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নিতে পৌঁছে গেছেন সাংবাদিক। কলিতা মাজিকে সাক্ষাৎকারের শুরুতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞাসা করা হয়, “আপনি কোন দলের হয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়েছেন?” ক্যামেরার সামনে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান পেশায় পরিচারিকা গেরুয়া প্রার্থী। উত্তর দিতে সময় নেন বেশ কিছুক্ষণ।ক্যামেরায় অস্বচ্ছন্দ স্বাভাবিক। কিন্তু এর পরে যে উত্তর আসে আউসগ্রামের বিজেপি প্রার্থী কলিতা মাজির মুখ থেকে, তা আলোড়ন সৃষ্টিকারী। থতমত খেয়ে কলিতা মাজি বলে ওঠেন “তৃণমূল”।
অর্থাৎ কোন দলের হয়ে তিনি দাঁড়িয়েছেন, আগামী দিনে কোন রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে তিনি লড়াই করতে চলেছেন বিধানসভা নির্বাচনে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণাই নেই কলিতা মাজির। এ নিয়ে যথারীতি শোরগোল পড়ে যায় এদিনের সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।